প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০২৩ ১৮:১৭ পিএম
আপডেট : ০৭ এপ্রিল ২০২৩ ১৯:০০ পিএম
তুষারঝড়ের সঙ্গে প্রবল বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কানাডার জনজীবন। একটি গাড়ির ওপরে উপড়ে পড়েছে গাছ। ৬ এপ্রিল কুইবেকের মন্ট্রিলে। ছবি : সংগৃহীত
কানাডার কুইবেক ও অন্টারিওতে ব্যাপক তুষারঝড়ে দুজন নিহত হয়েছে। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে প্রায় ১১ লাখ মানুষ। বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) বিকাল ৪টা থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত স্থায়ী ছিল তুষারঝড়। ১৯৯৮ সালের তুষারঝড়ের পর এটি কানাডায় সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ঘটনা।
জানা গেছে, কুইবেক ও অন্টারিওতে প্রায় ৩ কোটি ৯০ লাখ মানুষের বাস। দেশটির মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই থাকেন এই দুই প্রদেশে।
গাছপালা উপড়ে যাওয়া, বিদ্যুতের লাইনে বরফ জমে যাওয়া এবং ঠান্ডার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এই বিপর্যয় দেখা গেছে।
কুইবেক প্রাদেশিক সরকারের অর্থ ও জ্বালানিমন্ত্রী পিয়েরে ফিৎজগিবন শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ’ঝড়ে প্রাদেশিক রাজধানী মন্ট্রিয়াল লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।’
রয়টার্স জানায়, ঝড় থেমে গেলেও স্থানীয় লোকজনকে জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যারা বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন, তাদের ঝড়ের কারণে ছিড়ে পড়া বৈদ্যুতিক লাইন থেকে দূরে থাকা এবং যেসব এলাকায় গাছপালা বেশি সেসব এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বরফে ঢাকা গাছগুলোর যেকোনো সময় ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
নিহত দুজনের একজন কুইবেক, অপরজন অন্টারিও প্রদেশের। কানাডার সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুজনেরই মৃত্যু ঘটেছে মাথার ওপর গাছ ভেঙে পড়ার কারণে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক শোকবার্তায় বলেন, ‘কুইবেক ও অন্টারিওর অধিকাংশ এলাকার লোকজন বর্তমানে যে খুবই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, তা আমরা অনুভব করতে পারছি। ঝড়ের যে ধ্বংসযজ্ঞ আমরা দেখেছি… গাছপালা উপড়ে ভবন ও গাড়ির ওপর পড়া, বিদ্যুতের তার ছিড়ে পড়া—এসব খুবই উদ্বেগজনক।’
সূত্র : রয়টার্স