প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০২৩ ১১:০১ এএম
আপডেট : ০৭ এপ্রিল ২০২৩ ১১:৫৭ এএম
অভ্যুত্থানের পর থেকে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা মিয়ানমারের বেসামরিক মানুষকে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করেছে। ছবি : সংগৃহীত
মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে ফের ভয়াবহ লড়াই শুরু হওয়ায় মিয়ানমারের হাজার হাজার মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে থাইল্যান্ডে ঢুকেছে। খবরটি নিশ্চিত করেছেন থাই কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে অবৈধভাবে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করলে মিয়ানমারে ব্যাপক বিক্ষোভ এবং সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু হয়।
মিয়ানমার সীমান্তের কাছে থাইল্যান্ডের তাক প্রদেশের প্রাদেশিক কর্মকর্তারা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘সীমান্তবর্তী ১০টি এলাকা থেকে প্রায় ৩,৯৯৮ জন লোক অস্থায়ী আশ্রয়ের আশায় থাইল্যান্ডে ঢুকেছে। সীমান্ত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’
থাইল্যান্ডের ইংরেজি সংবাদপত্র খাওসোদ এবং বিবিসি বার্মিজ জানিয়েছে, জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির সশস্ত্র যোদ্ধারা একটি সীমান্তরক্ষী চৌকিতে হামলার পর মিয়ানমারে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দাতব্য কর্মী রয়টার্সকে বলেছেন, ‘গত বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) থেকে হাজারো মানুষ সীমান্ত অতিক্রম করেছে এবং কেউ কেউ এখনও মিয়ানমারের সীমান্তের কাছে অপেক্ষা করছে। তাদের কাছে এখন পর্যাপ্ত খাবার পানি নেই।’
মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে কিছু জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী যেমন কেএনএলএ, কয়েক দশক ধরে সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে আসছে। দেশটির জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো জেনারেলদের অভ্যুত্থানবিরোধী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যোগ দিয়েছে।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীও বিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী শক্তি ব্যবহার করছে।
রাজনৈতিক বন্দিদের সহায়তাকারী একটি সংস্থার মতে, দেশটির সরকারি বাহিনী প্রায় ৩,২১২ জনকে হত্যা করেছে এবং ১৭ হাজারেরও বেশি মানুষ কারাগারে রয়েছে।
বিরোধীদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য মিয়ানমারের জান্তা সরকার বিমান হামলা এবং স্থল হামলায় বেসামরিক লক্ষ্যবস্তু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কোথাও আবার পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে পুরো গ্রাম।
গত সপ্তাহে মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে গ্রামে বোমা হামলায় শিশুসহ অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন।
বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্যবস্তু করার বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে, তারা ‘সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তারা বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর জন্য বিরোধী যোদ্ধাদের দায়ী করেছে।
সূত্র : আলজাজিরা