প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৩ ১৯:৪৯ পিএম
আপডেট : ০৪ এপ্রিল ২০২৩ ২০:১৩ পিএম
নথিপত্রে সই করে তা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের (ডানে) হাতে তুলে দেন ফিনল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেক্কা হাভিস্টো। মাঝে ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ। ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (ন্যাটো) নতুন সদস্য হলো ফিনল্যান্ড। আবেদনের এক বছরেরও কম সময়ে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী দেশটি সামরিক জোটটির ৩১তম সদস্য হলো।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ন্যাটোর সদস্য হওয়ার প্রয়োজনীয় নথিপত্র সই করেন ফিনল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেক্কা হাভিস্টো। সই করে তা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের কাছে হস্তান্তর করেন হাভিস্টো।
ব্লিঙ্কেন বলেন, ’ফিনল্যান্ডের ন্যাটোর সদস্য হওয়ার জন্য আমরা মিস্টার পুতিনকে ধন্যবাদ দিতে পারি। তিনি ইউক্রেন আক্রমণ না করলে ফিনল্যান্ড হয়তো ন্যাটোর সদস্য হতো না।’
ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন, ’সদস্য হওয়ার মধ্য দিয়ে ফিনল্যান্ড আরও নিরাপদ হবে। ন্যাটো হবে আরও শক্তিশালী। প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘোষিত লক্ষ্য ছিল নিজেদের সীমান্তে ন্যাটোর সদস্য সংখ্যা কমানো। কিন্তু এখন তার উল্টো হয়েছে।’
বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাশিয়ার সঙ্গে ফিনল্যান্ডের প্রায় ৮৩২ মাইলের সীমান্ত রয়েছে। ইউক্রেন হামলার পর ২০২২ সালের মে মাসে ন্যাটোর সদস্য হওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করে উত্তর ইউরোপের দেশটি।
ফিনল্যান্ডের পাশাপাশি সুইডেনও ন্যাটোর সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করে। তুরস্কের কারণে সুইডেনের সদস্য হওয়ার প্রক্রিয়া থেমে আছে। কারণ তুরস্কের অভিযোগ, কুর্দি সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয় সুইডেন। অথচ সংগঠনটি তুরস্কের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে স্বাধীন দেশ চায়।
ফিনল্যান্ড ও সুইডেন জোট নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল। এখন ন্যাটোর সদস্য হওয়ার মধ্য দিয়ে তা হারাল ফিনল্যান্ড। সুইডেনও একই পথে রয়েছে।
এদিকে সুইডেনও শিগগির ন্যাটোর সদস্য হতে যাচ্ছে বলে মনে করেন সামরিক জোটটির যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী প্রতিনিধি জুলিয়ান স্মিথ। বিবিসিকে তিনি বলেন, ’ফিনল্যান্ড আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। এত শক্তিশালী একটি দেশকে পেয়ে আমরা খুশি। অন্যদিকে আগামী জুলাইয়ে লিথুনিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলনে সুইডেনও ন্যাটোর সদস্য হতে যাচ্ছে।’
ন্যাটোর সদস্য হতে যাচ্ছে এমন একটি শঙ্কার জায়গা থেকে ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। কিন্তু সীমান্ত থাকলেও ফিনল্যান্ডকে ইউক্রেন মনে করে না মস্কো। তবে সীমান্ত দেশে কী হচ্ছে তা মস্কো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
বিবিসিকে পেসকভ বলেন, ’ন্যাটো ফিনল্যান্ডে কী ধরনের অস্ত্র মোতায়েন করছে, কী ধরনের অবকাঠামো তৈরি করছে, তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। আমাদের জন্য সম্ভাব্য ঝুঁকি হতে পারে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হলে পাল্টা পদক্ষেপ নেবে মস্কো। কারণ তা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বার্থের জন্য হুমকি।’
সূত্র : বিবিসি