প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০২৩ ২১:৪১ পিএম
আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২৩ ২২:০৮ পিএম
গ্রেনেড ও স্নাইপার রাইফেল হাতে ইউক্রেনের সেনারা। ২৬ মার্চ কিয়েভের উত্তর-পশ্চিমে ইরপিন শহরে। ছবি : সংগৃহীত
ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। শুক্রবার (৩১ মার্চ) হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান বিষয়টি প্রকাশ করেন। ইইউর এমন সিদ্ধান্ত আলোচিত শান্তি প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবে এবং রাশিয়া-ন্যাটোর মধ্যে সরাসরি যুদ্ধের সূচনা করতে পারে।
শুক্রবার রুশ কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদরা এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এদিন নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ’এটি একটি ভয়ংকর ধারণা। আমরা যদি আন্তরিকভাবে শান্তি আলোচনা চাই, তাহলে সেক্ষেত্রে এটি বড় বাধা। এ ধরনের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের আগে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সম্মতি লাগে। এটাই দুনিয়ার নিয়ম। কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা না করে এমন কিছু করলে তা ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনতে পারে।’
আরটির প্রতিবেদন জানায়, অরবান বলেছেন, ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর একটি আলোচনা শুরু করার দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন ইইউর নেতারা। রাশিয়ার আপত্তি সত্ত্বেও এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা করাটাই ভয়াবহ। এটা কার্যকর হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ যে শুরু হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিরোধিতা করছে ইইউর সদস্য হাঙ্গেরি। তারা অব্যাহতভাবে আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধের ইতি টানার আহ্বান জানাচ্ছে।
শান্তিরক্ষী বাহিনী নিয়োগের বিষয়ে রাশিয়ার এমপি আলেক্সি চেপা বলেন, ’ইইউ এমনটি করলে তা রাশিয়া ও ন্যাটোর মধ্যে সরাসরি যুদ্ধ হিসেবে দেখা হবে। সেক্ষেত্রে কালেক্টিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (সিএসটিও) সহায়তা চাওয়া হবে।’
রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন সিএসটিওর সদস্য দেশগুলো হলো, বেলারুশ, আর্মেনিয়া, কাজাখাস্তান, কিরগিজস্তান এবং তাজিকিস্তান।
সূত্র : আরটি