প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৩ ১২:৪৮ পিএম
আপডেট : ০৯ এপ্রিল ২০২৩ ১০:৩৬ এএম
ইউক্রেন থেকে এখনো অবধি ৫৫ লাখ মানুষকে রাশিয়ায় নেয়া হয়েছে। যার মধ্যে ৭ লাখেরও বেশি শিশু রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
বিগত ১৩ মাস যাবৎ চলমান যুদ্ধের জেরে ইউক্রেনের লাখ লাখ মানুষ পরিবার ও শিশুসহ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এরমধ্যে কিছু পরিবার ও শিশুকে জোর করে রাশিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। এসব শিশুকে চুরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে কিয়েভ। একইসঙ্গে চুরি যাওয়া এ শিশুদের দত্তক না নিতে রুশ বাসিন্দাদের প্রতি আহ্বান জানান ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশচুক।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) তিনি আরও বলেন, যুদ্ধের সময় এসব শিশুকে চুরি করা হয় এবং রাশিয়ায় নির্বাসিত করা হয়। তবে জোর করে নির্বাসিত করা এসব শিশুদের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা অসম্ভব।
মার্চের শুরুতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও দেশটির শিশুদের অধিকার বিষয়ক কমিশনার মারিয়া লভোভা-বেলোভার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। তাদের বিরুদ্ধে ইউক্রেন থেকে শত শত শিশুকে অবৈধভাবে নির্বাসনের কারণে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আনা হয়।
ভেরেশচুক টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে এক বার্তায় বলেন, ইউক্রেন থেকে এতিম শিশুদের ‘চুরি করা হয়েছে’ এবং তাদের দত্তক নেওয়ার জন্ রুশ বাসিন্দাদের কাছে পাঠানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি রুশ নাগরিকদের ইউক্রেনের এতিম শিশুদের দত্তক না নেওয়ার জন্য দৃঢ়ভাবে আহ্বান জানাচ্ছি। আমি আবারও সব রুশ তথাকথিত ‘দত্তক নিতে চাওয়া পিতামাতা’ এবং ‘অভিভাবকদের’ মনে করিয়ে দিচ্ছি, শীগগিরই বা পরে আপনাদের জবাবদিহিতার আওতায় আসতে হবে।’
ইউক্রেনের অধিকৃত অঞ্চলগুলির একীকরণের মন্ত্রণালয়ের মতে, বর্তমানে ১৯ হাজার ৫১৪ জন ইউক্রেনীয় শিশুকে অবৈধভাবে নির্বাসিত করা হয়েছে মস্কোতে।
এদিকে ক্রেমলিনও যুদ্ধের মধ্যে ইউক্রেনের হাজার হাজার শিশুকে রাশিয়া নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি কখনো গোপন করেনি। বরং একে তারা একটি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে উপস্থাপন করেছে। তাদের মতে, যুদ্ধপীড়িত অঞ্চলের এতিম ও পরিত্যক্ত শিশুদের সুরক্ষার জন্য তারা এ কাজ করছেন।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখনো অবধি ৫৫ লাখ মানুষকে রাশিয়ায় নেয়া হয়েছে। যার মধ্যে ৭ লাখেরও বেশি শিশু রয়েছে।
খারকিভ অঞ্চলের রাশিয়া-অধিকৃত অংশে মস্কোর নিয়োগকৃত কর্মকর্তা ভিটালি গানচেভ জানান, গত বছর এ অঞ্চল থেকে একদল শিশুকে তাদের পিতামাতা বা অভিভাবকের সম্মতিতে রাশিয়ায় পাঠানো হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘ওই শিশুদের উপযোগী দারুণ পরিবেশে রাখা হয়েছে। তাদের প্রয়োজনীয় সবকিছুর ব্যবস্থাও করা হয়েছে। যতদিন অবধি তাদের বাবা মা ফিরে না আসছেন ততদিন পর্যন্ত আমরা তাদের যত্নে রাখবো।’
সূত্র: রয়টার্স