প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৩ ১১:২৬ এএম
আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২৩ ১২:২৩ পিএম
হামলাকারী অড্রে হেল। ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের ন্যাশভিল শহরের একটি স্কুলে হামলা চালানো ওই ব্যক্তি বৈধভাবেই সাতটি বন্দুক কিনে মজুদ রাখেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। হামলার কয়েক সপ্তাহ আগে তিনি অস্ত্রগুলো কেনেন।
সোমবার স্কুলের ওই প্রাক্তন ছাত্রের গুলিতে ছয়জন নিহত হন। তার মধ্যে তিনজন শিশু ও তিনজন স্কুলের কর্মী। এ ঘটনার পর পুলিশ হামলাকারীর পরিচয় খুঁজে বের করে।
ন্যাশভিলের পুলিশপ্রধান জন ড্রেক মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ওই হামলাকারীর নাম অড্রে হেল। তার বয়স ২৮ বছর। তিনি তুতীয় লিঙ্গের মানুষ ছিলেন। ইমোশনাল ডিজঅর্ডার বা মানসিক বিষণ্নতায় ভুগছিলেন। তাই চিকিৎসকের শরণাপন্নও হয়েছিলেন হেল। তিনি ওই স্কুলেরই সাবেক শিক্ষার্থী।
ড্রেক আরও বলেন, হামলাকারী পাঁচটি ভিন্ন দোকান থেকে বৈধভাবে সাতটি বন্দুক কেনেন। এর মধ্যে হামলার সময় তিনটি অস্ত্র ব্যবহার করা হয়।
তবে অড্রের মা-বাবা জনিয়েছেন, তার কাছে কেবল একটা অস্ত্র আছে বলেই জানতেন তারা। সেটি বিক্রি করে দেয় হেল। কিন্তু তাদের অগোচরে যে বাসায় আরও বন্দুক কিনে মজুদ রাখা হয় সে বিষয়ে তারা কিছু জানতেন না।
পুলিশপ্রধান জন ড্রেক জানান, তারা এখনও এ আক্রমণের উদ্দেশ্য কী ছিল জানতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে অড্রে সুনির্দিষ্টভাবে কাউকে টার্গেট করে ওই হামলা চালাননি।
২৮ বছর বয়সি অড্রে হেল একটি আধা-স্বয়ংক্রিয় রাইফেলসহ তিনটি বন্দুক দিয়ে ওই হামলা চালান এবং পরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজে হেলের এক হাতে একটি অ্যাসল্ট স্টাইলের রাইফেল দেখা যায়। ভবনের নিচতলা থেকে গুলি চালানো শুরু করেন তিনি। এরপর পুলিশের গাড়ি আসার সঙ্গে সঙ্গে দ্বিতীয় তলা থেকে তাদের ওপর গুলি চালান।
পুলিশ জানায়, হেল পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়েই এ হামলা করেছেন। তদন্তকারীরা সেখানে একটি ইশতেহার এবং স্কুল ভবনে প্রবেশ ও বের হওয়ার রাস্তার একটি মানচিত্র খুঁজে পেয়েছেন। তা ছাড়া হেল এমন অবস্থান থেকে পুলিশকে গুলি করছিলেন যে তারা পাল্টা আক্রমণ করতে পারছিলেন না। একপর্যায়ে স্কুলের ভেতরে ঢুকে হেলকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ।
সূত্র : এনডিটিভি