প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৩ ২০:৫৫ পিএম
আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৩ ২১:০৮ পিএম
ইসরায়েলি বিক্ষোভকারীদের সমর্থনে নেতানিয়াহুর এই ব্যঙ্গচিত্রটি এঁকেছেন আরব কার্টুনিস্ট হিশাম শামালি। ছবি : টুইটার
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর আদালতের ক্ষমতা কমিয়ে
আনার প্রস্তাবিত এক সংস্কার আইনের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে সাধারণ ইসরায়েলিরা। এরই মধ্যে
এই ডিক্রি পাস স্থগিত করেছে নেতানিয়াহু। এরপরেও বিক্ষোভকারীদের দাবি, স্থায়ীভাবে এই
প্রস্তাব বাতিল করতে হবে। এখন ইসরায়েলের এই চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতাকে কীভাবে দেখছে
সাধারণ ফিলিস্তিনিরা?
ফিলিস্তিনিদের অনেকেই ইসরায়েলের সাম্প্রতিক ঘটনাকে দেখছেন জায়োনিস্ট
মতাদর্শের পতন হিসেবে। জায়োনিস্ট হলো সেই মতাদর্শ, যা মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল রাষ্ট্রের
জন্মের বীজ। তবে সব ফিলিস্তিনিরা এই ঘটনায় মোটেও একপক্ষীয় দৃষ্টিকোণে দেখছে না। অনেক
ফিলিস্তিনিই ইসরায়েলি গণতন্ত্রকে ইতিবাচকভাবেই দেখে। যেখানে হাজার হাজার মানুষ সরকারের
বিরোধিতা করে রাস্তায় নামতে পারে এবং ইসরায়েলি নেতাদের সমালোচনা করতে পারে।
পেশায় লেখক পূর্ব জেরুজালেমের ফিলিস্তিনি এক বাসিন্দা বলেন, ‘ইসরায়েলি গণতন্ত্র
থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। আমি আশা করি এমন দিন আসবে যখন আমরা দেখতে পাব, ফিলিস্তিনিরা
গ্রেপ্তার বা নিহত হওয়ার ভয় ছাড়াই আমাদের নেতাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে।’
রামাল্লার একজন প্রবীণ ফিলিস্তিনি সাংবাদিক বলেছেন, ‘আমরা তাদের
(ইসরায়েলি) সম্পর্কে যাই ভাবি না কেন, তারা এখনও আমাদের চেয়ে ভালো। অন্তত তাদের কাছে
প্রেসিডেন্সিয়াল ডিক্রি নেই।’
অনলাইনে অনেক ফিলিস্তিনি ও আরব ইসরায়েলের চলমান উত্তেজনা নিয়ে উচ্ছ্বাস
প্রকাশ করলেও অনেকে আবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরোধিতা করেছেন।
অনেকে আবার পুরো ঘটনাটিকে আরব বসন্তের সঙ্গে তুলনা করেছেন। আরব কার্টুনিস্ট হিশাম শামালি বিক্ষোভকারীদের
সমর্থনে এক ছবি পোস্ট করেছেন, যেখানে নেতানিয়াহুকে দিয়াশলাই দিয়ে স্টার অব ডেভিডে
আগুন লাগাতে দেখা যাচ্ছে।
অনেক ফিলিস্তিনি ও আরবকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসরায়েলে গৃহযুদ্ধের
শঙ্কা প্রকাশ করতেও দেখা গেছে। অনেকে খুব শিগগিরই ইসরায়েলের পতনের কথাও বলছেন। ফিলিস্তিনি
এক পত্রিকার সম্পাদক আবেদল বারি মনে করেন, ইসরায়েল দ্রুত তৃতীয় বিশ্বের দেশে পরিণত
হতে যাচ্ছে এবং সামরিক পরাশক্তি হিসেবে কেউ তাকে আর ভয় পায় না। হামাস ও প্যালেস্টাইন
ইসলামিক জিহাদের (পিআইজে) সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জায়নবাদী সত্তার
মৃত্যুর দিন গণনা শুরু হয়ে গেছে।
সূত্র : জেরুজালেম পোস্ট