শি-সালমানের ফোনালাপ
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৩ ১৫:৪৫ পিএম
আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৩ ১৬:০১ পিএম
চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (বাঁয়ে) ও সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমান। গত ৮ ডিসেম্বর রিয়াদে। ছবি: সংগৃহীত
চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমান ফোনালাপ করেছেন। এতে সৌদি ও ইরানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে ভূমিকা রাখায় চীনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুহাম্মদ বিন সালমান। মধ্যপ্রাচ্যের সার্বিক উন্নয়নে তারা একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিসিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এসব খবর জানা গেছে।
সৌদি আরবের সংবাদ সংস্থা এসপিএর বরাতে রয়টার্স জানায়, রিয়াদ ও তেহরানের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনে মধ্যস্থতা করায় চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমান। সালমান বলেছেন, দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপনে চীন যে ভূমিকা রেখেছে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চীনের এই প্রচেষ্টাকে আমরা আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই।
শি সালমানকে বলেছেন, নিজেদের স্বার্থে আমরা পরস্পরকে আন্তর্জাতিক ফোরামে সহায়তা দেব ও সমর্থন করব। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আমরা যৌথভাবে কাজ করব।
মধ্যপ্রাচ্যের চিরবৈরী দুই দেশ সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে আট বছর ধরে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল না। ১০ মার্চ বেইজিংয়ে এক বৈঠকে দেশ দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু করতে সম্মত হয়।
তার আগে গত ডিসেম্বরে সৌদি সফর করেন শি জিনপিং। সফরে রিয়াদ-তেহরান সম্পর্ক নিয়ে সালমানের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেন শি।
সোমবার (২৭ মার্চ) এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি রমজানেই সৌদি ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছেন। তা ছাড়া দেশ দুটি একে অপরের দেশে শিগগিরও দূতাবাস খুলবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্য ঐতিহাসিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবাধীন অঞ্চল। কিন্তু অঞ্চলটিতে গত এক দশকে চীনের প্রভাব ধীরে ধীরে বেড়েছে। সেখানে চীনের প্রভাব বাড়ায় একটু নড়েচড়ে বসেছে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ সৌদির মতো মধ্যপ্রাচ্যের যুক্তরাষ্ট্রের নির্ভরযোগ্য মিত্রসহ আরও কিছু দেশ কয়েক বছরে চীনের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়িয়েছে।
সূত্র : রয়টার্স