যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলে গুলি
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৩ ১৩:০০ পিএম
আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৩ ১৪:২৭ পিএম
ঘাতক গুলি করে বন্ধ দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের ন্যাশভিল শহরের একটি স্কুলে প্রাক্তন ছাত্রের গুলিতে ছয়জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন শিশু ও তিনজন স্কুলের কর্মী বলে জানা গেছে।
নিহত তিন শিশু কভেন্যান্ট স্কুলের পড়ুয়া এবং তাদের বয়স নয় বছর বা তার কম। পুলিশ জানিয়েছে, ওই শিশুদের নাম হলো ইভলিন ডিকহাউস, হ্যালি স্ক্রাগস ও উইলিয়াম কিনে।
হামলায় নিহত তিনজন কর্মীর নাম হলো সিনথিয়া পিক, ক্যাথরিন কুন্স ও মাইক হিল। বেসরকারি ওই খ্রিস্টান স্কুলে প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী রয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
স্কুলটিতে তিন থেকে প্রায় ১২ বছর বয়সি শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয়।
এ ঘটনায় দেশটির পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাইডেন বলেছেন, সব সরকারি ভবন ও যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে পতাকা অর্ধনমিত রাখতে হবে। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত এ শোক পালন করা হবে।
বাইডেন এ হামলাগুলোকে ‘পরিবারের সবচেয়ে খারাপ দুঃস্বপ্ন’ বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘বন্দুক সহিংসতা বন্ধ করার জন্য আমাদের অনেক কিছু করতে হবে। এটি আমাদের সম্প্রদায়গুলোকে বিচ্ছিন্ন করে তুলছে এবং এ জাতির আত্মাকে ছিঁড়ে ফেলছে।’
তিনি কংগ্রেসকে আবারও বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন পাস করার আহ্বান জানিয়েছেন।
স্কুলে গুলির ঘটনার ভয়াবহতা বর্ণনা করেছেন ন্যাশভিল শহরের মেয়র জন কুপার। তিনি এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, মাত্র ১৪ মিনিটে ছয়জনের প্রাণহানি হয়েছে।
এ কঠিন সময়ে পরস্পরকে পরস্পরের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সন্তানদের রাতের বেলায় জড়িয়ে রাখতে বলেছেন তিনি।
হামলার সময় পিক একজন শিক্ষকের বিকল্প হিসেবে পাঠদান করছিলেন, হিল দারোয়ান হিসেবে স্কুলের সদর দরজায় ছিলেন এবং কুন্স কভেন্যান্ট স্কুলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ২৮ বছর বয়সি অড্রে হেল একটি আধা-স্বয়ংক্রিয় রাইফেলসহ তিনটি বন্দুক দিয়ে ওই হামলা চালান এবং পরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
ন্যাশভিল পুলিশ প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, হেল সামনের দরজায় কাচের ফলক ভেঙে প্রবেশের জন্য গুলি চালাচ্ছেন।
স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, হেল একটি প্রতিরক্ষামূলক পোশাক পরা এবং তার এক হাতে একটি অ্যাসল্ট স্টাইলের রাইফেল বহন করছেন। হেল ভবনের দ্বিতীয় তলায় ওঠার আগে নিচতলায় গুলি চালান।
পুলিশের গাড়ি আসার সঙ্গে সঙ্গে হেল দ্বিতীয় তলা থেকে তাদের ওপর গুলি চালান। এরপর পুলিশ স্কুলের ভেতরে ঢুকে হেলকে গুলি করে হত্যা করে। পুলিশ অফিসাররা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে হেল স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন।
ন্যাশভিলের পুলিশপ্রধান জন ড্রেক বলেছেন, তদন্তকারীরা সেখানে একটি ইশতেহার এবং স্কুল ভবনে প্রবেশ ও প্রস্থান পয়েন্টসহ সেগুলেঅ কীভাবে কার্যকর হবে তার একটি মানচিত্র খুঁজে পেয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, হামলার পরিকল্পনা করার সময় বন্দুকধারী নজরদারি চালিয়েছিলেন।
শুটিংয়ের পরে বাবা-মা তাদের সন্তানদের সঙ্গে পুনরায় মিলিত হওয়ার জন্য নিকটবর্তী একটি গির্জায় জড়ো হয়েছিলেন।
সূত্র : বিবিসি