প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৩ ১২:৪২ পিএম
আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৩ ১৪:১৯ পিএম
তাইওয়ানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মে ইং-জে (মাঝে হাত নাড়ছেন)। ২৭ মার্চ সাংহাইতে। ছবি : সংগৃহীত
তাইওয়ানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মে ইং-জে বলেছেন, তাইওয়ান প্রণালির দুই তীরে যারা বাস করে, তারা সবাই চায়নিজ। আমরা একই পূর্বপুরুষের বংশধর।
বুধবার (২৮ মার্চ) চীন সফরের দ্বিতীয় দিন মে ইং-জে এ মন্তব্য করেন। পূর্ব চীনের নানজিং শহরের সান ইয়াত-সেনের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে চীন সফর শুরু করেন মে ইং-জে।
সান ইয়াত-সেনের সমাধিতে মে ইং-জে বলেন, ‘আমরা ইয়েন ও ইয়েলু সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী। এটা মূল তাইওয়ান প্রণালির উভয় পাড়ের মানুষের জন্য সত্যি।’
‘আমাদের আন্তরিক কামনা, তাইওয়ান প্রণালির উভয় পাড়ের মানুষ কোনো ধরনের যুদ্ধে জড়াবে না। তারা শান্তির জন্য একজোট হয়ে কাজ করবে। চীনকে শক্তিশালী করবে। এটা তাইওয়ান প্রণালির উভয় পাড়ের মানুষের সমান দায়িত্ব।’
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বক্তৃতায় বারবার জাতির (নেশন) পরিবর্তে জাতিসত্তার (এথনিসিটি) কথা বলেছেন মে ইং-জে।
২০০৮ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত স্বায়ত্তশাসিত তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনকারী মে ইং-জের পার্টি কুমিনতাং বেইজিংপন্থি হিসেবে পরিচিত। কিন্তু দলটি চীনের সঙ্গে সুসম্পর্কের কথা বললেও এ ধরনের দাবি বারবার অস্বীকার করেছে।
অন্যদিকে তাইওয়ানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের ডেমোক্র্যাটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি বেইজিংবিরোধী হিসেবে পরিচিত। ইং-ওয়েনের শাসনামলে বেইজিং-তাইপে সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে।
কারণ বেইজিংকে অসন্তুষ্ট করে এমন কাজ একটার পর একটা অব্যাহতভাবে করছেন ওয়েন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করেছেন। তাদের থেকে সামরিক সরঞ্জাম কেনা বাড়িয়েছেন। গত আগস্টে বেইজিংয়ের টানা আপত্তি সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিকে তাইপেতে বরণ করেছেন। সর্বশেষ সাম্প্রতিক লাতিন আমেরিকা সফরে যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রাবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন ইং-ওয়েন।
কমিউনিস্ট বিপ্লবের পর ১৯৪৯ সালে তাইওয়ানে পালিয়ে যান চীনের তৎকালীন শাসক চিয়াং কাই-শেক। এর পর থেকে দ্বীপটি আলাদাভাবে শাসিত হচ্ছে।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের সিংহভাগ দেশ তাইওয়ানকে স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি দেয়নি। কারণ চীন ওটাকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া অংশ মনে করে। তাই স্বাভাবিকভাবে না পারলে প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করে দ্বীপটিকে মূল ভূখণ্ডের অংশ করা চীনের বর্তমান শাসক দল কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম ঘোষিত এজেন্ডা।
সূত্র : রয়টার্স