প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২৩ ১৪:১৯ পিএম
আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৩ ১৫:৪৯ পিএম
সামরিক শাসনবিরোধী গ্রামগুলোয় আক্রমণে চীনের তৈরি জে৮ প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত
মিয়ানমারের সামরিক সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং এই প্রথমবারের মতো সশস্ত্র গোষ্ঠীর প্রতিরোধ মোকাবিলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
জেনারেল মিন অং হ্লাইং দেশটির রাজধানী নেপিডোয় সোমবার (২৭ মার্চ) এক বার্ষিক সশস্ত্র পরিষেবা প্যারেডে এক বিরল বক্তৃতায় ওই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
ওই বক্তৃতায় তিনি বলেছেন, মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী তাদের শাসনের বিরোধিতাকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই বন্ধ করবে না।
মিন অং হ্লাইং দেশটির গণতন্ত্রপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠীর প্রচেষ্টাকে ‘সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ড’ বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি তার সরকারের মানবাধিকার রেকর্ডের সমালোচনাকারী দেশগুলোকে সন্ত্রাসের সমর্থক হিসেবেও অভিযুক্ত করেছেন।
২০২১ সালে ক্ষমতা দখলের পর থেকে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে প্রতিরোধ গোষ্ঠীর রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে চলছে।
উভয় পক্ষের সংঘর্ষে কয়েক হাজার মানুষ নিহত এবং ১০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
৬৬ বছর বয়সি জেনারেল মিন অং হ্লাইং তার বক্তৃতায় এও উল্লেখ করেছেন যে, ‘সাধারণ মানুষের স্বার্থ নষ্টকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ শহরে সামরিক আইন ক্রমবর্ধমানভাবে জারি করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং বিজয়ী দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। যদিও চলমান সংঘাতের কারণে নির্বাচন কখন হবে তা স্পষ্ট নয়।’
জাপানি আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিয়ানমারের জাতীয় সেনাবাহিনীর প্রতিষ্ঠার ৭৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয় বলে জানা গেছে।
মিয়ানমার চীন ও রাশিয়ার সমর্থন এখনও ধরে রেখেছে। কুচকাওয়াজে সম্প্রতি বেইজিং থেকে কেনা চীনা কে৮ গ্রাউন্ড অ্যাটাক এয়ারক্রাফ্ট ও এফটিসি২০০০ জেটের পাশাপাশি রাশিয়ান এমআই৩৫ গানশিপ প্রদর্শন করা হয়েছে।
অভ্যুত্থানের পর থেকে এ অস্ত্রগুলোর অনেকটিই বিদ্রোহীদের শক্ত ঘাঁটিতে ব্যবহার করা হয়েছে।
শুক্রবার বেসামরিক জনবহুল এলাকায় বিমান হামলার পর সামরিক বাহিনীকে জেট জ্বালানি সরবরাহ লক্ষ করে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র : বিবিসি