প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৩ ১১:১৬ এএম
আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৩ ১১:৩২ এএম
তাইওয়ানের সবচেয়ে বড় মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও স্বশাসিত দ্বীপটিকে স্বাধীন দেশ হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি। ছবি : সংগৃহীত
চীনকে কাছে
পেতে তাইওয়ানের সঙ্গে এক দশকের দীর্ঘ কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করল হন্ডুরাস। তাইওয়ান
ইস্যুতে সাম্প্রতিক উত্তেজনায় স্বশাসিত দ্বীপটির জন্য হন্ডুরাসের সিদ্ধান্ত একটি বড়
আঘাত।
স্থানীয় সময়
শনিবার (২৫ মার্চ) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে,
‘হন্ডুরাস সরকার বিশ্বে একটি চীনের অস্তিত্বকেই স্বীকৃতি দেয় এবং গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের
সরকারকেই পুরো চীনের প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকার করে।’
বিবৃতিতে আরও
বলা হয়, ‘তাইওয়ান চীনা ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ। হন্ডুরাস সরকার তাইওয়ানকে কূটনৈতিক
সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয়ে অবহিত করেছে।’
হন্ডুরাসের
এমন ঘোষণার পরপরই তাইওয়ানও সম্পর্ক আনুষ্ঠানিকভাবে ছিন্ন হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে। স্বশাসিত
দ্বীপটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ উ এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, তাইপের পক্ষ থেকে
হন্ডুরাসের দূতাবাস সরিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।
জোসেফ বলেন,
‘জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষা করার জন্য, আমরা অবিলম্বে হন্ডুরাসের সঙ্গে কূটনৈতিক
সম্পর্ক বন্ধ করার এবং সব দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
হন্ডুরাসের
প্রেসিডেন্ট জিওমারা কাস্ত্রো চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়েই বলেছিলেন, তাইওয়ানকে দেওয়া
স্বীকৃতি প্রত্যাহার করবে তার দেশ। তার নির্বাচনি ম্যান্ডেটেও বিষয়টি ছিল।
চীনের সঙ্গে
কূটনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক রাখতে হলে ‘এক চীন নীতি’ মানতেই হয়। এমনকি তাইওয়ানের সবচেয়ে
বড় মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও এক চীন নীতি মেনে চলে। জোরপূর্বক তাইওয়ান অধিগ্রহণের চীনের
যেকোনো চেষ্টা প্রতিহত করার কথা বললেও তাইওয়ানকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি
তারাও। এমনকি দ্বীপটিতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো আনুষ্ঠানিক দূতাবাস নেই।
মধ্য আমেরিকার
ছোট্ট দেশ হন্ডুরাসের পক্ষে এতদিন চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখা
সম্ভব হয়নি। নতুন করে দেশটি চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবে।
সূত্র : সিএনএন