প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২৩ ১১:৫৩ এএম
আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৩ ১১:৫৮ এএম
যুক্তরাষ্ট্রের এফ-১৫ যুদ্ধবিমান সিরিয়ার তিনটি স্থানে বিমান হামলা চালায়। ছবি : সংগৃহীত
সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে সিরিয়ার ইরানপন্থি বাহিনী।
গত শুক্রবার (২৪ মার্চ) সিরিয়ায় ইরানের উপদেষ্টা কমিটির স্বাক্ষরিত অনলাইন বিবৃতিতে নিহত যোদ্ধাদের জাতীয়তা উল্লেখ না করে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় তাদের বেশ কয়েকজন যোদ্ধা নিহত ও আহত হয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সিরিয়ায় আমাদের কেন্দ্র ও বাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু করা হলে জবাব দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের আছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত শুক্রবার সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর বিরুদ্ধে একই সঙ্গে দুটি হামলা চালানো হয়েছে।
কর্মকর্তারা আরও বলেছেন, প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে কনোকো প্ল্যান্টে রকেট হামলায় একজন মার্কিন সেনাসদস্য আহত হলেও তার অবস্থা স্থিতিশীল। প্রায় একই সময়ে গ্রিন ভিলেজে বেশ কয়েকটি ড্রোন হামলা চালানো হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস নিউজ এজেন্সির সঙ্গে কথা বলা যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বলেছেন, একটি ড্রোন ছাড়া বাকি সবগুলোই গুলি করে নামানো হয়েছে এবং সেখানে তাদের কোনো সেনা আহত হয়নি।
ইরানের বিপ্লবী গার্ডের সঙ্গে যুক্ত গোষ্ঠীগুলোর দ্বারা ব্যবহৃত সিরিয়ার সাইটগুলোতে আক্রমণ করার পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত শুক্রবার বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র তার কর্মীদের সুরক্ষার জন্য জবাব দেবে।‘
গত বৃহস্পতিবার ইরানের তৈরি একটি সন্দেহভাজন ড্রোনের হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের এক ঠিকাদার নিহত, অপর একজন আহত এবং উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় তাদের ঘাঁটিতে পাঁচ সেনা আহত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা শুরু হয়।
বাইডেন রাষ্ট্রীয় সফরে কানাডায় থাকাকালীন অটোয়াতে বলেন, ‘ইরানের সঙ্গে সংঘাত চায় না যুক্তরাষ্ট্র।’
তবে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের জনগণকে রক্ষা করার জন্য যেকোনো কাজ করতে প্রস্তুত। গতকাল রাতে ঠিক তাই হয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বলেছেন, গত বৃহস্পতিবার উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার শহর হাসাকেহের কাছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের ঘাঁটিতে আঘাত করা ড্রোনটি ইরানি বংশোদ্ভূত। যদিও এই দাবির সপক্ষে তিনি কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ১১ জন ইরান-সমর্থিত যোদ্ধা নিহত হয়েছে।
এর মধ্যে ছয়জন দেইর ইজ-জোর শহরের হারাবেশ এলাকায় একটি অস্ত্রের ডিপোতে এবং অন্য পাঁচজন ইরানের কাছাকাছি আল-মায়াদিন এবং আল-বুকামাল শহরের সামরিক পোস্টে।
সূত্র : আলজাজিরা