প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৩ ১১:৩৪ এএম
আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৩ ১৩:১৭ পিএম
২০২০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি গ্যাপিংয়ের চেওংশিম পিস ওয়ার্ল্ড সেন্টারে ইউনিফিকেশন চার্চ আয়োজিত একটি গণবিবাহ অনুষ্ঠানে উল্লাস করছেন দম্পতিরা। ছবি : সংগৃহীত
বিয়ে করার প্রতি আগ্রহ ক্রমে কমছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গত বছর যা রেকর্ড গড়েছে। এবার কম জন্মহারে রেকর্ডও গড়ল দেশটি।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর ১ লাখ ৯২ হাজার জন বিয়ে করেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। ১০ বছর আগে ২০১২ সালে বিয়ের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ২৭ হাজার। এর মানে বিয়ের হার প্রায় ৪০ শতাংশ কমে গেছে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ১৯৭০ সালের পর এই প্রথম কোনো বছর এত কম সংখ্যায় বিয়ে হয়েছে। তাদের ব্যাখ্যায়, বিয়ে করার প্রবণতাই কমে গেছে সমাজে। ছেলেদের বিয়ের গড় বয়স ৩৩.৭ আর মেয়েদের ৩১.৩ বছর।
ছেলেদের বিয়ের বয়স ১.৬ বছর বেড়েছে। মেয়েদের ১.৯ বছর বেড়েছে। গত বছর যারা বিয়ে করেছেন, তাদের ৮০ শতাংশেরই প্রথম বিয়ে।
গত বছর সবচেয়ে কমসংখ্যক মাত্র ২ লাখ ৪৯ হাজার শিশুর জন্ম হয়েছে সেখানে। দেশে জন্মহার বৃদ্ধির জন্য ২০০৬ সাল থেকে বাসিন্দাদের উৎসাহ দিচ্ছে সরকার। এ খাতে কমপক্ষে ২১ হাজার ৩০০ কোটি ডলার ব্যয় করেছে তারা। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। দেশের জনসংখ্যা ক্রমে কমছে।
বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এভাবে চললে জনসংখ্যা ৫ কোটি ২০ লাখ থেকে কমে ২০৬৭ সালে ৩ কোটি ৯০ লাখে ঠেকবে। দেশবাসীর মধ্যবর্তী বয়স দাঁড়াবে ৬২ বছর।
জন্মহার কমার কারণ হিসেবে অনেকের বক্তব্য, সন্তান মানুষ করার খরচ ক্রমবর্ধমান। আবার অনেকে বলছে, সমাজে প্রতিযোগিতা বেড়েছে। ভালো চাকরি পাওয়া খুব কঠিন। ভালো চাকরি পেলেও তাতে নিরাপত্তা নেই। এদিকে জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। চাকরিরতা নারীরা সন্তান ও অফিস সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। তাই অনেকেই সন্তান নিতে চাইছে না।
সূত্র : নিউজ এইটটিন