প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৭:১৯ পিএম
আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৭:৫৬ পিএম
কাবুলে রুশ দূতাবাসের প্রবেশপথের কাছে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর বিস্ফোরণে অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন।
আফগানিস্তানের কাবুলে অবস্থিত রুশ দূতাবাসের প্রবেশপথের কাছে আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। দেশটির নিরাপত্তাবাহিনীর বরাতে আল জাজিরা অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে। আজ সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে।
আফগানিস্তানের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আরআইএ নভোস্তি সংবাদ সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে দূতাবাসের দুই কর্মচারী রয়েছেন।
তবে নিহত ওই কর্মচারী কারা বা কীভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় কিছু জানায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, আফগানিস্তানের রাজধানীর দক্ষিণ-পশ্চিমে দারুল আমান এলাকায় দূতাবাসের গেটের কাছে যাওয়ার সময় সশস্ত্র রক্ষীদের গুলিতে হামলাকারী নিহত হন।
জেলার পুলিশ প্রধান মাওলাভি সাবির বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আত্মঘাতী হামলাকারী লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগেই রাশিয়ান দূতাবাসের তালেবান রক্ষীরা তাকে চিনতে পারে এবং তাকে গুলি করে ।’
তাৎক্ষণিকভাবে কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি। তালেবান সরকার তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো পরিসংখ্যান দেয়নি।
এর আগে, আরআইএ নভোস্তি অন্য একটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছিল, বিস্ফোরণে ১৫-২০ জন হতাহত হয়েছেন।
যখন একজন রাশিয়ান কূটনীতিক ভিসার জন্য প্রার্থীদের নাম ডাকার জন্য বাইরে অপেক্ষমাণ লোকদের ডাকছিলেন, তখনই ওই বিস্ফোরণের ঘটে বলে জানা গেছে।
কাবুলভিত্তিক সাংবাদিক নাজিব লালজয় আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘বিস্ফোরণ আসলে দূতাবাসের কাছে ঘটেছিল, যেখানে রাশিয়ান ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য প্রচুর লোক জড়ো হয়েছিল।’
রুশ দূতাবাসের নিকটবর্তী প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, হতাহতের সংখ্যা বেশি হতে পারে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলছেন, এমনকি রুশ কূটনীতিকরাও নিহতদের মধ্যে রয়েছেন। তবে এটি এখনও নিশ্চিত করা যায়নি’।
এক বছরেরও বেশি সময় আগে তালেবানরা দেশটির দখল নেওয়ার পর কাবুলে দূতাবাস সচল করা কয়েকটি দেশের মধ্যে রাশিয়া অন্যতম।
যদিও মস্কো আনুষ্ঠানিকভাবে তালেবানের সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে তারা পেট্রোল এবং অন্যান্য পণ্য সরবরাহের চুক্তি নিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে, আইএসআইএল (আইএসআইএস) গোষ্ঠী কাবুল এবং দেশের অন্যান্য অংশে বেসামরিক লোকদের পাশাপাশি মাদ্রাসা ও মসজিদে হামলার লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে৷
সাংবাদিক লালজয় বলেন, ‘এটি খুবই অপ্রত্যাশিত। কারণ কাবুলের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন যে কাবুলের চারপাশে নিরাপত্তা খুবই কঠোর এবং দূতাবাসের মতো এ ধরনের জায়গাগুলো ভালোভাবে সুরক্ষিত।’
প্রবা/জিজি/এমআই