প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৩ ১১:১৪ এএম
আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৩ ১৫:০৮ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ সান দিয়েগোয় তাদের পরিকল্পনার বিশদ বিবরণ ঘোষণা করেন। ছবি : সংগৃহীত
অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নেতারা নতুন একটি নিরাপত্তা চুক্তির বিষয় উন্মোচন করেছেন। যার মধ্য দিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে নতুন নিউক্লিয়ার সাবমেরিন দেওয়ার বিষয়টি বিশদভাবে তুলে আনেন তারা। এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের শক্তি কমিয়ে আনতে এ চুক্তি করা হয়েছে।
তিন দেশের সমন্বয়ে গঠিত নতুন এ চুক্তির নাম অকাস। এ চুক্তি অনুসারে ২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে তিনটি নিউক্লিয়ার সাবমেরিন কিনতে পারবে অস্ট্রেলিয়া। প্রয়োজনে আরও দুটি সাবমেরিন কিনতে পারবে দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ সোমবার (১৩ মার্চ) ক্যালিফোর্নিয়ায় বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তি ও এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এর দৃঢ় উপস্থিতি নিয়ে তিন দেশের ব্যাপক উদ্বেগ লক্ষ করা যায়। এরই প্রতিক্রিয়ার অংশ ওই দেশগুলোর নতুন এ নিরাপত্তা চুক্তি।
এ চুক্তি অনুসারে দেশগুলোর মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, হাইপারসনিক অস্ত্র ও অন্যান্য উন্নত প্রযুক্তি তৈরিতে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি ও সহায়তায় একটি নতুন সাবমেরিন মডেল নির্মাণ শুরু করবে। ২০৩০-এর শেষ দিকে এ পারমাণবিক সাবমেরিন সরবরাহ করবে বলে আশা করছে যুক্তরাজ্য। আর অস্ট্রেলিয়া ২০৪০ সালের মধ্যে নৌবাহিনীর কাছে এসব সাবমেরিন হস্তান্তর করতে পারবে বলে আশা করছে।
সান দিয়েগোর নৌঘাঁটি থেকে বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রেসিডেন্ট বাইডেন এ মুহূর্তকে ইতিহাসের একটি পরিবর্তন বিন্দু হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, এ চুক্তি প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে; যা পরবর্তী কয়েক দশকে এসব অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে সহায়তা করবে।
এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজকে বাইডেন বলেছেন, নতুন এ চুক্তির অংশ হতে পেরে তারা গর্বিত।
চীন এ তিন দেশের করা অকাস নিরাপত্তা চুক্তিকে এ অঞ্চলের জন্য বড় ঝুঁকি বলে উল্লেখ করেছে। একই সঙ্গে ওই দেশগুলোকে ‘ঠান্ডা যুদ্ধের মানসিকতা’ পোষণ করছে বলে অভিযোগ করেছে বেইজিং।
বেইজিংবিষয়ক বিশ্লেষক অ্যান্ডি মোক আলজাজিরাকে বলেন, চুক্তিটি শান্তিপূর্ণভাবে উদীয়মান চীন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ ও ভয়ের প্রমাণ।
সূত্র : আলজাজিরা