প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৩ ১১:৫৯ এএম
আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৩ ১২:১৮ পিএম
শনিবার রাতে তেল আবিবে বিক্ষোভকারীদের অবস্থান। ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সংস্কার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে দেশজুড়ে লাখ লাখ জনতা বিক্ষোভ করছেন। যাকে ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ বলেও অ্যাখ্যা দিয়েছেন অনেকে। আদালত ব্যবস্থা সংশোধনের সরকারি পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে টানা ১০ সপ্তাহ ধরে চলছে এ বিক্ষোভ।
আয়োজকরা বলছেন, শনিবারের (১১ মার্চ) বিক্ষোভে ৫ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, তেল আবিব, উত্তরাঞ্চলীয় শহর হাইফা ও বেরশেবাতে রাস্তায় নেমে পড়েছেন বিক্ষোভকারীরা। এর মধ্যে তেল আবিবে যান চলাচলে বাধা দেওয়ায় তিনজন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
তেল আবিবে অংশ নেওয়া বিক্ষোভকারী রণ শাহর বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমি এ বিক্ষোভকে সমর্থন করি। কারণ নতুন সরকার যে সংস্কারের পরিকল্পনা নিয়েছে তা ইসরায়েলের গণতন্ত্রের জন্য বাস্তবিক ও তাৎক্ষণিক হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।’
আরেক বিক্ষোভকারী তামির গুইতসাব্রি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ‘এটি কোনো বিচারিক সংস্কার নয়। এটি একটি বিপ্লব, যা ইসরায়েলকে সম্পূর্ণ একনায়কতন্ত্রের দিকে নিয়ে যেতে বাধ্য করছে। আমি চাই, ইসরাইয়েলে আমার সন্তানদের জন্য গণতন্ত্র বজায় রাখুক।’
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ ইসরায়েলের উগ্রপন্থি রাজনীতিবিদরা দীর্ঘদিন ধরে দেশটির বিচারব্যবস্থা সংস্কারের কথা বলে আসছেন। নতুন সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা ওই সব দাবি নিয়ে সম্প্রতি একটি সংস্কার প্রস্তাব প্রকাশ করেন।
প্রস্তাবে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের কোনো রায় বদলে দেওয়ার অধিকার পার্লামেন্টের থাকতে হবে। বিচারক ও বিচারপতি নিয়োগে পার্লামেন্টের কথাই চূড়ান্ত হবে।
জানুয়ারির প্রথম দিকে প্রধানমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে দেশটির জনতা। বিক্ষোভকারীদের মতে, নেতানিয়াহু এবং তার ডানপন্থি ও ধর্মীয় মিত্ররা পার্লামেন্টে এমন আইন পাস করতে যাচ্ছে, যা আইনসভা ও নির্বাহী বিভাগে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতাকে সীমিত করবে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির পুরোনো অভিযোগও রয়েছে। আদালতের সিদ্ধান্তের কারণে এর আগে তাকে প্রধানমন্ত্রীর পদও ছাড়তে হয়েছিল। সমালোচকরা বলছেন, তাই ফের প্রধানমন্ত্রী হয়ে শুরুতেই তিনি আদালতের ক্ষমতার লাগাম টেনে ধরতে চাইছেন, যা সাধারণ ইসরায়েলিরা মানতে মোটেও রাজি নয়।
তবে নেতানিয়াহু কোনো অন্যায় করেননি বলে অস্বীকার করে জানান, নতুন আদালত ব্যবস্থা সংশোধনের সরকারি পরিকল্পনার সঙ্গে তার বিচারের কোনো সম্পর্ক নেই।
সূত্র : আলজাজিরা