প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৩ ১৫:০৫ পিএম
আপডেট : ০৯ মার্চ ২০২৩ ১৫:২৯ পিএম
গুয়ানতানামো বে কারাগারের বাইরের চিত্র। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের কুখ্যাত গুয়ানতানামো বে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেনে সৌদি আরবের এক প্রকৌশলী। আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ গঠন করা না হলেও ২০ বছরেরও বেশি সময় তাকে আটকে রাখা হয় ওই কারাগারে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ বুধবার (৮ মার্চ) জানিয়েছে, ৪৮ বছর বয়সি ওই প্রকৌশলীর নাম ঘাসান আল শারবি। তাকে সৌদি আরব ফেরত পাঠানো হয়েছে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে গঠিত একটি নিরীক্ষা বোর্ড সিদ্ধান্ত দেয়, তিনি ‘যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি নন। তাকে আর কারাগারে আটকে রাখার প্রয়োজন নেই।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়, শারবিকে সৌদি আরবে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে তাকে ব্যাপক নজরদারির মধ্যে রাখা হবে।
এতে আরও বলা হয়, শারবির ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও ধারাবাহিকভাবে তথ্য আদান-প্রদান করার বাধ্যবাধকতা করা হয়েছে।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে হামলার পর শারবি পাকিস্তানে পালিয়ে যায়। সেখানে তিনি বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ নেন। এর পরের বছরই তাকে সেখানে গ্রেপ্তার করা হয় এবং নির্জন গুয়ানতানামো কারাগারে পাঠানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাহিনী শারবিসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে। তবে ২০০৮ সালে তা প্রত্যাহারও করে নেয়।
টুইন টাওয়ার হামলার সময় আল শারবি যুক্তরাষ্ট্রের একটি অ্যারোনটিক্যাল বা উড়োজাহাজ চলাচলবিষয়ক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। টুইন টাওয়ার হামলায় জড়িত দুই বিমান ছিনতাইকারীর সঙ্গে একই স্কুলে বিমান চালানোর প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন তিনি।
চলতি বছর গুয়ানতানামো বে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া চতুর্থ ব্যক্তি আল শারবি। ২০০৩ সালে এই কারাগারে ৬০০ বন্দি ছিলেন। শারবিকে মুক্ত করার পর এখন ওই কারাগারে বন্দির সংখ্যা ৩১ জন। গত মাসে ২০ বছর পর মুক্তি দেওয়া হয় দুই পাকিস্তানি ভাইকে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে এই কুখ্যাত গুয়ানতানামো কারাগার বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে আসছে।
সূত্র : আলজাজিরা