প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৩ ১১:০০ এএম
আপডেট : ০৯ মার্চ ২০২৩ ১১:৩৪ এএম
২০১৭ সাল থেকে সিডনির ভিলাউড ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টারে বন্দি রয়েছেন ওই ইরানি শরণার্থী। ছবি : সংগৃহীত
ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর আহওয়াজের এক আশ্রয়প্রার্থীকে অস্ট্রেলিয়ার দীর্ঘদিন আটকে রাখার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ।
ওই ইরানির অনির্দিষ্টকালের কারাদণ্ডকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন বলে ঘোষণা করেছে ইউএন হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের (ইউএনএইচআরসি) ওয়ার্কিং গ্রুপ অন আর্বিট্রারি ডিটেনশন।
ওই ইরানি আশ্রয়প্রার্থী, যিনি তার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য ‘মি. এ’ নামে পরিচয় দেন, তিনি ২০১০ সালে ইন্দোনেশিয়া হয়ে ইরান থেকে পালিয়ে যান।
ওই বছরই তিনি নৌকায় করে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছান। এরপর তাকে পরবর্তী ১৮ মাসের জন্য আটকে রাখা হয়েছিল।
পরের ছয় বছর অস্ট্রেলিয়ান কমিউনিটিতে তিনি আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে জীবন কাটিয়েছেন। কিন্তু তার ব্রিজিং ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ২০১৭ সালে তাকে ফের আটক করা হয়।
মি. এ-র আইনজীবী হিউম্যান রাইটস ফর অল-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অ্যালিসন ব্যাটিসন বলেন, ‘মি. এ একটি গাড়ি কেনার জন্য সেটি পরীক্ষামূলকভাবে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তিনি এক বন্ধুর সঙ্গে ছিলেন তখন। তার গাড়িতে দুটি অস্ত্র ছিল।‘
তিনি আরও বলেন, ‘মি. এ-কে চারটি অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছিল এবং ভিসা ছাড়াই একজন বিদেশি হিসেবে বাধ্যতামূলক আটকে রাখা হয়েছিল। পরে তাকে চারটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা যায়নি এবং তার কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড নেই।’
মুক্তির জন্য ছয় বছর ধরে ব্যর্থ আবেদনের পর মি. এ দুই বছর আগে ইউএনএইচআরসি ওয়ার্কিং গ্রুপের কাছে সাহায্য চান।
ওই গ্রুপ তাদের অনুসন্ধান শেষে গত মাসে মি. এ-র আটকের নিন্দা জানায়।
গ্রুপটি জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার সরকার আটকের জন্য কোনো ‘বিশেষ কারণ’ উপস্থাপন করেনি, যেমন পলাতক হওয়ার সম্ভাবনা, অন্যদের বিরুদ্ধে অপরাধের ঝুঁকি বা জাতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে কাজ করার ঝুঁকি ইত্যাদি।
গ্রুপটি মি. এ-র স্বাধীনতার বঞ্চনাকে বেশ কয়েকটি আইনি ধারার লঙ্ঘন বলে মনে করেছে। তারা জানিয়েছে, ‘তিনি একজন ইরানি ভিন্নমতাবলম্বী এবং তার মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছে।’
ইউএনএইচআরসি গ্রুপ মি. এ-র অবিলম্বে মুক্তি এবং তাকে ‘আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ক্ষতিপূরণ এবং অন্যান্য ক্ষতিপূরণ’ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
সূত্র : আলজাজিরা