প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৩ ০৮:৩৩ এএম
আপডেট : ০৯ মার্চ ২০২৩ ১১:৫১ এএম
যুক্তরাজ্যের নকশা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিতে তৈরি পারমাণবিক সাবমেরিন। ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যুগান্তকারী প্রশান্ত মহাসাগরীয় নিরাপত্তা চুক্তির (এইউকেইউএস) অধীনে ২০৩০ সাল নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পাঁচটি পারমাণবিক সাবমেরিন কিনবে অস্ট্রেলিয়া। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের চার কর্মকর্তা।
যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এইউকেইউএস চুক্তির অধীনে আগামী বছর কমপক্ষে একটি সাবমেরিন অস্ট্রেলিয়ার বন্দরে পৌঁছাবে এবং বাকিগুলো পৌঁছাবে ২০৩০ সালের শেষের দিকে।
তিনি আরও বলেন, পারমাণবিক সাবমেরিনগুলো যুক্তরাজ্যের নকশা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিতে তৈরি।
এইউকেইউএসের পরবর্তী পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন করতে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজে আগামী সোমবার সান দিয়েগোয় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে দেখা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম ঘোষিত প্রশান্ত মহাসাগরীয় নিরাপত্তা চুক্তিটিকে এ অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান শক্তি এবং দৃঢ় অবস্থান মোকাবিলার একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হয়। যে কারণে বরাবরই ওই চুক্তির নিন্দা জানিয়েছে বেইজিং।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুক্তরাষ্ট্রের দুই কর্মকর্তা বলেছেন, বার্ষিক বন্দর পরিদর্শনের পরে যুক্তরাষ্ট্র ২০২৭ সালের মধ্যে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় কিছু সাবমেরিন মোতায়েন করবে। ২০৩০ সালের দশকের গোড়ার দিকে অস্ট্রেলিয়া বাকি সাবমেরিনগুলো কিনবে।
অস্ট্রেলিয়ার কাছে প্রচলিত কলিন্স-শ্রেণির ছয়টি সাবমেরিনের বহর রয়েছে। সেগুলোর সার্ভিস লাইফ ২০৩৬ পর্যন্ত বর্ধিত করা হবে। পারমাণবিক সাবমেরিনগুলো প্রচলিত সাবমেরিনের চেয়ে বেশি সময় ধরে পানির নিচে থাকতে পারে এবং পানির নিচে এগুলো শনাক্ত করা কঠিন।
এদিকে যুক্তরাজ্যের গার্ডিয়ান সংবাদপত্র বুধবার (৮ মার্চ) একাধিক অজ্ঞাত সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘অস্ট্রেলিয়ার কাছে ব্রিটিশ নকশার পারমাণবিক সাবমেরিন বিক্রি করতে সফল হয়েছে যুক্তরাজ্য।’
ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত যুক্তরাজ্যের দূতাবাস রয়টার্সের প্রতিবেদন সম্পর্কে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি।
সূত্র : আলজাজিরা