প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৩ ১৩:৫৫ পিএম
আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২৩ ১৪:১৬ পিএম
করোনা ভাইরাস ছড়ানোই চীনের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চীনের ল্যাব থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়ার দাবি নতুন কিছু নয়। এবার তিনি বলছেন তার এ অনুমান সত্য প্রমাণিত হয়েছে। যার কারণে শনিবার (৪ মার্চ) চীনের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ডিপার্টমেন্ট ও ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) মূল্যায়নেও বলা হয়েছে একই কথা। সে মূল্যায়নের ভিত্তিতে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি এফবিআই পরিচালক ক্রিস্টোফার রে বলেন, চীনের উহান রাজ্যের একটি ল্যাব থেকে কোভিড-১৯ মহামারি ছড়িয়ে থাকতে পারে।
ট্রাম্প বলেন, ‘বিষয়গুলো এখন সবার কাছেই খুব স্পষ্ট।’
শনিবার ডেইলি মেইল পত্রিকায় দেওয়া এক বিবৃতিতে ট্রাম্প চীন সরকারের ওপর খড়গহস্ত হন। তাতে তিনি লেখেন, বেইজিংয়ের মিথ্যা ও প্রতারণার কারণে শুরুতেই এ মারাত্মক বৈশ্বিক বিপর্যয় বন্ধ করার সব সুযোগ শেষ করে দিয়েছে।
এ মহামারির উৎস প্রকৃতি বরং ল্যাব নয় বলে মন্তব্য করলেও এসব দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি এনার্জি ডিপার্টমেন্ট ও এফবিআই।
এদিকে এভাবে দোষারোপ করায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন চীনের কর্মকর্তারা। তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনকে কোভিড-১৯ এর উৎস ট্রেসিংকে রাজনীতিকরণ করার এবং ভুল দাবি নিয়ে চীনকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ আনেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেইসাস শুক্রবার সতর্ক করে বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে রাজনীতি বিষয়টিকে একটি ‘রাজনৈতিক ফুটবলে’ পরিণত করেছে। যা কীভাবে এ ভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছে তা নির্ধারণ করা আরও কঠিন করে তুলেছে।
ট্রাম্প জানান, চীনকে এ মহামারির জন্য আর্থিকভাবে দায়ী করা উচিত। কারণ, এ মহামারিতে ৫০ ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই ১১ লাখ সহ বিশ্বব্যাপী প্রায় ৬৯ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
‘এ ভাইরাসটি চীনের একটি সরকারি ল্যাব বা এমনকি দেশটির সরকারি বিজ্ঞানীদের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। যার জন্য পুরো বিশ্বের কাছে চীনের কাছে শুধু ক্ষমাই নয় বরং ব্যাপক ক্ষতিপূরণ পাওনা আছে’, বলেন ট্রাম্প।
এ সময় ট্রাম্প আরও দাবি করেন, চীনের প্রতি বাইডেনের বেশ দুর্বলতা রয়েছে। কারণ, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সাথে যুক্ত সংস্থাগুলো থেকে তার পরিবার লাখ লাখ ডলার পেয়ে থাকে। তিনি বাইডেনের বিরুদ্ধে র্যাব লিক তত্ত্বকে অবদমন করারও অভিযোগ আনেন।
সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, এবার এর একটা হিসেব দিতেই হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও সমগ্র পশ্চিম জুড়ে যে অশুভ সেন্সরশিপ শাসন বিরাজ করছে তা শেষ করতে হবে।
সূত্র: রাশিয়া টুডে