প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২৩ ২১:০৬ পিএম
আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২৩ ২১:৩৪ পিএম
নারীর নাম জেনেভিয়েভ লেরমিত্তে। ১৬ বছর আগে ২০০৭ সালে নিজের পাঁচ সন্তানকে হত্যা করেছিলেন তিনি। ছবি : সংগৃহীত
বেলজিয়ামে এক নারীর স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুরোধে সাড়া দিয়ে তা কার্যকর করা হয়েছে। নারীর নাম জেনেভিয়েভ লেরমিত্তে। ১৬ বছর আগে ২০০৭ সালে পাঁচ সন্তানকে হত্যা করেছিলেন তিনি।
২০০৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বেলজিয়ামের নিভেল শহরে ঘটনাটি ঘটে। স্বামীর অনুপস্থিতিতে সন্তানদের হত্যা করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। সন্তানদের বয়স ছিল ৩ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। লেরমিত্তে আত্মহত্যার চেষ্টায় ব্যর্থ হন। জরুরি সেবায় কল করে সাহায্য চান পরে।
২০০৮ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় ৫৬ বছর বয়সি লেরমিত্তেকে। পরে ২০১৯ সালে তাকে মানসিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
বেলজিয়ামের বিধি অনুসারে স্বেচ্ছামৃত্যু বেছে নিতে পারেন মানুষ। তবে তাকে প্রমাণ করতে হয় যে তিনি শুধু শারীরিক নন, ‘সহনাতীত’ মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। এমন যন্ত্রণা যা আর কখনও সেরে ওঠার মতো নয়।
বিধি অনুসারে, এ সিদ্ধান্ত ব্যক্তিকে সজ্ঞানে নিতে হয় এবং নিজের ইচ্ছা যৌক্তিক এবং সঙ্গতিপূর্ণভাবে তুলে ধরতে হয়।
লেরেমিত্তে স্বেচ্ছামৃত্যুর জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে বেছে নেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবিসির প্রতিবেদনে। মনোবিজ্ঞানী এমিলি ম্যারোয়িট এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘হতে পারে সন্তানদের প্রতি সম্মানে এ দিন বেছে নিয়েছেন তিনি। আবার হতে পারে যা শুরু করেছিলেন, সেটা শেষ করার জন্যই এ দিনকে বেছে নিয়েছেন। কারণ আদতে তিনি সন্তানদেরকে হত্যার সময়টিতে নিজেকেও শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন’।
২০০৭ সালের ওই ঘটনা এবং পরবর্তী বিচার কার্যক্রম গোটা বেলজিয়ামকে নাড়িয়ে দিয়েছিল।
বিবিসির তথ্যানুসারে, বেলজিয়ামে ২০২২ সালে প্রায় ২ হাজার ৯৬৬ জন ব্যক্তি স্বেচ্ছামৃত্যু বেছে নিয়েছেন। হিসাবে যা ২০২১ সালের তুলনায় ১০ শতাংশ বেড়েছে।
২০১৪ সাল থেকে শিশুদের স্বেচ্ছামৃত্যুতেও অনুমোদন দিয়েছে বেলজিয়াম। তবে শর্ত হলো, গুরুতর অসুস্থ এবং ব্যাপক শারীরিক কষ্টের মধ্যে থাকতে হবে এবং অবশ্যই বাবা-মার সম্মতির প্রয়োজন পড়বে। সূত্র : বিবিসি