প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২৩ ২২:৩৩ পিএম
আমাজন থেকে আফ্রিকা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার চিরহরিৎ বন পর্যন্ত বড় ধরনের বন উজাড়ের ঘটনাগুলো গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলজুড়ে ব্যাপক হারে বৃষ্টিপাত কমায়।
নতুন একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, কঙ্গো অববাহিকা অঞ্চলে এ হুমকি সবচেয়ে তীব্র। এই অববাহিকায় আগামী বছরগুলোতে দ্রুত বন উজাড় হতে পারে, যা এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ বৃষ্টিপাতের ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে।
নেচার সাময়িকীতে বুধবার এ গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় সাম্প্রতিক দশকগুলোর কৃত্রিম উপগ্রহের পর্যবেক্ষণ ব্যবহার করে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
গবেষণার প্রধান লেখক লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালাম স্মিথ বলেছেন, ‘আমরা এমন একপর্যায়ে আসতে পারি, যেখানে রেইনফরেস্ট নিজেদের টিকিয়ে রাখতে পারব না।’ তিনি বন সংরক্ষণের প্রতি অঙ্গীকার বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন, ধ্বংসপ্রাপ্ত বনের বড় এলাকা পুনরুদ্ধার করা গেলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আবার আগের অবস্থায় নিয়ে আসা সম্ভব।
বিশ্বব্যাপী জলবায়ুর জন্য গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বনের গুরুত্ব বিশেষভাবে স্বীকৃত। কারণ বন গ্রহ-উষ্ণায়নকারী কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে এবং নিজের ভেতরে সঞ্চয় করে রাখে। দাবানলে গাছ পুড়ে গেলে কার্বন আবার বায়ুমণ্ডলে ছেড়ে দেয়।
বিশ্বব্যাপী বন রক্ষার লক্ষ্যে গ্যাবনে অনুষ্ঠিতব্য ‘ওয়ান ফরেস্ট’ সম্মেলন সামনে রেখে গবেষণা প্রতিবেদনের এ ফল প্রকাশ করা হলো। সম্মেলনের একটি প্রধান আলোচনার বিষয় হবে কঙ্গো অববাহিকা। এটি বিরল প্রজাতির প্রাণীর আশ্রয়স্থল। আকারের দিক থেকে বনাঞ্চলটির অবস্থান আমাজনের পরই অর্থাৎ দ্বিতীয়।
২০০৩ এবং ২০১৭ সালের মধ্যে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় আমাজন, কঙ্গো এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলজুড়ে সংগৃহীত তথ্য ব্যবহার করে স্মিথ এবং তার সহকর্মীরা দেখতে পেয়েছেন, বড় আকারের বন উজাড়ের ঘটনা পানিচক্রকে ব্যাহত করে এবং বৃষ্টিপাত উল্লেখযোগ্য হ্রাসের দিকে নিয়ে যায়।
গাছগুলো তাদের পাতার মাধ্যমে বাতাসে জলীয়বাষ্প ফেরত দেয়, যা স্থানীয় বৃষ্টিপাতের জন্য অনেকটা দায়ী। সূত্র : এএফপি