প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:৩৯ পিএম
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। ছবি : সংগৃহীত
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন তার দেশে খাদ্য ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে কৃষি উৎপাদনে একটি আমূল পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছেন।
রাষ্ট্রচালিত কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছে, কিম শস্য উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ এবং ‘কৃষির স্থিতিশীল ও টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি’ স্থাপনের জন্য উৎপাদনে রূপান্তরের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন।
কেসিএনএ জানিয়েছে, ব্যর্থ না হয়ে কৃষি উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির দৃঢ় সংকল্প ও ইচ্ছা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ পুরো পার্টিতে শক্তিশালী নেতৃত্ব ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত থাকবে এবং ঐক্যবদ্ধ শক্তি থাকবে, ততক্ষণ কিছুই অসম্ভব নয়। ’
দক্ষিণ কোরিয়ার একীকরণ মন্ত্রণালয জানিয়েছে, তার প্রতিবেশী একটি ‘গুরুতর খাদ্য ঘাটতি’র মুখোমুখি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক থার্টিএইটনর্থ গত মাসে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, উত্তর কোরিয়া সম্ভবত ন্যূনতম মানবিক চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছে এবং দেশটি এখন দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এখন পর্যন্ত উপস্থাপিত প্রমাণগুলো উত্তর কোরিয়ার জনগণের জীবনযাত্রার অবস্থার একটি উল্লেখযোগ্য অবনতি এবং এর মূলে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সঙ্গে চলমান জটিল মানবিক জরুরি অবস্থার ইঙ্গিত করে। উত্তর কোরিয়ার দীর্ঘস্থায়ী খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার দীর্ঘমেয়াদী সমাধান আংশিকভাবে পারমাণবিক সমস্যা সমাধানের মধ্যে নিহিত। পিয়ংইয়ংয়ের উচিত পরমাণু প্রকল্প বন্ধ করে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা থেকে বেরিয়ে এসে তার মিত্রদের সাথে পুনরায় বাণিজ্য শুরু করা।’
উত্তর কোরিয়া প্রায়শই খাদ্য সংকটে ভুগছে, যার মধ্যে রয়েছে ১৯৯০ সালের বিধ্বংসী দুর্ভিক্ষ। ওই দুর্ভিক্ষে ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষ মারা যায় বলে অনুমান করা হয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমান খাদ্য ঘাটতি দুর্বল ফসল এবং চরম আবহাওয়ার সংমিশ্রণ এবং কঠোর লকডাউন চলাকালীন চীনের সঙ্গে বাণিজ্য হ্রাসের কারণে শুরু হয়েছিল।
সূত্র : আল জাজিরা