প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:১৭ পিএম
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২০:৩২ পিএম
প্রতীকী ছবি।
মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ করতে বিষ প্রয়োগের পন্থা অবলম্বন করেছেন কেউ কেউ। এমনটাই জানিয়েছেন ইরানের উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী ইউনুস পানাহি। গত নভেম্বর থেকে ইরানের কওম শহরে একাধিক ছাত্রীর শরীরে বিষক্রিয়ার প্রমাণ মিলেছে।
অনেককে ভর্তি করানো হয়েছে হাসপাতালেও। সম্প্রতি উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, ‘কিছু মানুষ’ ইচ্ছাকৃতভাবেই ছাত্রীদের বিষ খাইয়েছেন। এই অপরাধের উদ্দেশ্য মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ করা।
বেশিরভাগ প্রকাশ্যে এসেছে ইরানের রাজধানী তেহরানের দক্ষিণে কওম শহরের ছাত্রীদের শরীরে বিষক্রিয়ার ঘটনা। এ ছাড়া কওমের বাইরেও এই কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ইরানের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত উপস্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, ‘কওমের স্কুলগুলোতে বহু ছাত্রীর বিষক্রিয়ার খবর পাওয়ার পর তদন্ত করে দেখা গেছে, ইচ্ছাকৃতভাবে এই কাজ করা হয়েছে। যারা এটা করেছেন, তারা চান সমস্ত স্কুল, বিশেষত মেয়েদের স্কুল বন্ধ হয়ে যাক।
ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
বিষক্রিয়ায় ভুগতে থাকা ছাত্রীদের অভিভাবকরা গত ১৪ ফেব্রুয়ারি স্কুলগুলোর সামনে জড়ো হয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে এর ব্যাখ্যা চান। তার পরদিন ইরান সরকারের মুখপাত্র আলি বাহাদোরি জাহরোমি জানান, দেশের গোয়েন্দা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।
কীভাবে ছাত্রীদের শরীরে বিষ ঢুকল, তার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯ বছরের তরুণী মাহশা আমিনির মৃত্যুর পর থেকে উত্তপ্ত ইরান। সেই উত্তেজনার রেশ এখনও কাটেনি। অভিযোগ, হিজাব না পরার ‘অপরাধে’ পুলিশ মাহশাকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল।
তার পর পুলিশ হেফাজতেই তার মৃত্যু হয়। পুলিশের নির্যাতনেই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর হাজারো ইরানি প্রতিবাদে পথে নামেন। সূত্র : এনডিটিভি