প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:৪৯ এএম
ভারতের বেঙ্গালুরুতে বসেছিল গ্রুপ অব টোয়েন্টি বা জি২০-এর বৈঠক। ছবি : সংগৃহীত
ইউক্রেন যুদ্ধ প্রশ্নে শনিবার মস্কোর প্রতি নিন্দা জানিয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির আর্থিক প্রধানরা। শুধু চীন ও রাশিয়া যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে রাজি হয়নি বলে জানা গেছে।
ভারতের বেঙ্গালুরুতে বসেছিল গ্রুপ অব টোয়েন্টি বা জি২০-এর বৈঠক। রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি ভারত এ ইস্যু উত্থাপন করতে অনিচ্ছুক ছিল। কিন্তু পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো সাফ জানিয়ে দেয়, তারা এমন কোনো ফলাফলকে সমর্থন দিতে পারবে না, যেটির মধ্যে নিন্দা নেই।
জি২০-এর সব সদস্য একমত হতে না পারায় ভারত সভাপতি হিসেবে সারসংক্ষেপ ইস্যু করে। তাতে তারা দুই দিনের আলোচনা এবং এ সময়ের অসম্মতিগুলো উল্লেখ করে।
খাদ্য সরবরাহে বিঘ্ন, আর্থিক স্থিতিশীলতায় ঝুঁকি এবং খাদ্য ও শক্তি অনিরাপত্তা অব্যাহত থাকার বিষয়টি জানিয়ে সে সারসংক্ষেপে বলা হয়, বেশিরভাগ সদস্য দৃঢ়ভাবে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রতি নিন্দা জানিয়েছে এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে এ যুদ্ধটি অপরিসীম মানব দুর্ভোগ তৈরি করছে এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে বিদ্যমান ভঙ্গুরতাকে বাড়িয়ে তুলছে।
এতে আরও বলা হয়, পরিস্থিতি এবং নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কিত পৃথক দৃষ্টিভঙ্গি এবং ভিন্ন মূল্যায়নও ছিল।
দিনশেষে যা দাঁড়ায় সেটির সঙ্গে গত বছর বালিতে অনুষ্ঠিত জি২০ সম্মেলনের মিল রয়েছে। ২০২২ সালের আয়োজক ছিল ইন্দোনেশিয়া। সেবারও পার্থক্য তুলে ধরে চূড়ান্ত ঘোষণা এসেছিল তাদের কাছ থেকেই।
অর্থনৈতিক সংকট সামাল দেওয়ার জন্য দুই দশক আগে গঠিত হয় জি২০। সাম্প্রতিক সময়ে এর সদস্যদের মধ্যে একমত হওয়ার বিষয়টি ক্রমশ দুরূহ হয়ে উঠছে।
মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন রয়টার্সকে বলেছেন, যেকোনো বিবৃতিতে রাশিয়ার প্রতি নিন্দা জানানো অত্যন্ত জরুরি ছিল। অন্যদিকে দুই প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জি২০ প্ল্যাটফর্মে কোনো রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হোক, তা চায়নি রাশিয়া এবং চীন।
রাশিয়া জি২০ সদস্য হলেও জি৭-এর সদস্য নয়। ইউক্রেন যুদ্ধকে এখনও ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ হিসেবেই দাবি করে আসছে দেশটি।
জি২০ সভাপতি ভারত এখন পর্যন্ত ইউক্রেন যুদ্ধ প্রশ্নে নিজেদের নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে। তারা এ ব্যাপারে কূটনৈতিক সমাধানে বিশ্বাসী। রাশিয়ার কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে তেল কেনাও অব্যাহত রেখেছে দেশটি।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহার এবং যুদ্ধ অব্সানের আহ্বান জানানো হয়। সেখানে এ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল ভারত ও চীন।
লিথুয়ানিয়ার সহায়তা
এদিকে ইউক্রেন যাতে আকাশ প্রতিরক্ষা রাডার কিনতে পারে, সে লক্ষ্যে লিথুয়ানিয়ানরা ১ কোটি ৪৭ লাখ ডলার অনুদান সংগ্রহ করেছে। মাসব্যাপী তহবিল সংগ্রহ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে লিথুয়ানিয়ানদের কাছ থেকে এ অর্থ সংগ্রহ করা হয়। শনিবার সংগঠকরা এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে।
বাল্টিক এ দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটো দুই জোটেরই সদস্য। যুদ্ধের শুরু থেকেই ইউক্রেনকে সমর্থন করে আসছে দেশটি।
লিথুয়ানিয়ার সংগঠকরা জানিয়েছেন, তহবিলের অর্থ ১৪টি রাডার কিনতে ব্যয় করা হবে। এত বেশি অর্থ যে উঠবে, তা প্রত্যাশা করেননি বলেও জানিয়েছেন তারা।
সূত্র : এএফপি, রয়টার্স