প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:৫৬ পিএম
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:০৫ পিএম
বৈঠকের সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ইয়ের সঙ্গে করমর্দন করছেন। ছবি : সংগৃহীত
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দেশের সহযোগিতার গুরুত্বকে স্বাগত জানিয়ে চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ইয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ।
প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে ওয়াং এবং পুতিন গত বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) তাদের বৈঠকের সময় দৃঢ় করমর্দন করছেন এবং একসঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসে আছেন।
পুতিন প্রতিবেশী ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর আদেশ দেওয়ার প্রায় এক বছর পরে মস্কোতে সফর করলেন ওয়াং।
এই যুদ্ধ রাশিয়া এবং পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে বিভাজন বিস্তৃত করেছে। ইউক্রেনকে সমর্থন করা পশ্চিমারা মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্কও গুরুতর চাপের মধ্যে পড়েছে।
আন্তর্জাতিক উত্তেজনা বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে পুতিন বলেন, ‘এই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার জন্য বিশ্বব্যাপী গণপ্রজাতন্ত্রী চীন এবং রাশিয়ান ফেডারেশনের মধ্যে সহযোগিতা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক নতুন সীমানায় পৌঁছেছে।’
পুতিন নিশ্চিত করেছেন যে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং শিগগিরই একটি শীর্ষ সম্মেলনের জন্য মস্কো ভ্রমণ করবেন। শি চীনের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে এই দুই রাষ্ট্রনায়ক বহুবার সাক্ষাৎ করেছেন।
ওয়াং জোর দিয়ে বলেছেন, মস্কো এবং বেইজিং উভয়ই আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বহুমুখীতা এবং গণতন্ত্রীকরণ সমর্থন করে। বৈশ্বিক বিষয়ে অনুভূত যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য মোকাবিলায় তাদের লক্ষ্য অভিন্ন।
তিনি বলেন, ‘চীন-রাশিয়ার সম্পর্ক যেহেতু তৃতীয় কোনো দেশের বিরুদ্ধে নয়, সেহেতু এই সম্পর্ক কখনোই কোনো তৃতীয় দেশের চাপের শিকার হতে পারে না।’ এর আগে বুধবার ওয়াং রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভের সঙ্গে বৈঠক করেন।
ল্যাভরভ বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক গতিশীলভাবে বিকশিত হতে চলেছে এবং বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে উচ্চ অস্থিরতা সত্ত্বেও আমরা একে অপরের স্বার্থ রক্ষায় কথা বলার প্রস্তুতি দেখিয়েছি।’
শি এবং পুতিন চীনে মিলিত হওয়ার পরপরই ইউক্রেনে সেনা অভিযান শুরু করে মস্কো। ওই যুদ্ধের জন্য কখনোই মস্কোর নিন্দা করেনি বেইজিং। তারা ওই আগ্রাসনকে বরাবরই মস্কোর ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলে দাবি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো সম্প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে, চীন রাশিয়ার যুদ্ধে অস্ত্র বা অন্যান্য সহায়তা দিতে পারে। যদিও চীন এমন পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করেছে।
সূত্র : আল জাজিরা