প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২১:০৮ পিএম
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:০৫ পিএম
সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত শহর জান্ডারিসের ধ্বংসস্তূপে চলছে উদ্ধারকাজ। ১৫ ফেব্রুয়ারি তোলা। ছবি : সংগৃহীত
তুরস্কের তুলনায় সিরিয়ায় উদ্ধারকাজ চলছে ধীরগতিতে। আর যাদের উদ্ধার করা হয়েছে বা যারা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, তাদের অত্যন্ত নিম্নমানের তাঁবু ও স্কুলে থাকতে হচ্ছে। সেখানে জ্বালানি, খাদ্য, পানীয় এবং ওষুধের মতো প্রয়োজনীয় সামগ্রীর তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় বাস্তুচ্যুতদের ক্যাম্পে রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন আন্তর্জাতিক রেডক্রসের মহাসচিব জগন চাপাগাইন।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বার্তা সংস্থা এপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জগন চাপাগাইন বলেন, ’ভূমিকম্পে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আলেপ্পো ও ইদলিব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ইদলিব সরকারবিরোধীদের নিয়ন্ত্রণে। আর সেখানেই নিহতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।’
ভূমিকম্পে সিরিয়ায় মোট নিহত ৫ হাজার ৮ শতাধিক। এর মধ্যে ইদলিবে ৪ হাজার ৪০০ এর মতো। অথচ এখনও উদ্ধারকাজ অনেক বাকি।
এদিকে আল জাজিরা জানায়, সিরিয়ার নিহত উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা তহবিলের সিরিয়াবিষয়ক সমন্বয়কারী মুহান্নাদ হাদি।
জগন চাপাগাইনের শঙ্কা ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত সিরিয়ার অঞ্চলগুলোয় বাস্তুচ্যুতরা যেসব আশ্রয়কেন্দ্রে থাকছে, সেগুলোর অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। এ অবস্থা চলতে থাকলে সেখানে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কলেরাসহ নানান ধরনের রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। ২০২২ সালের শেষের দিকে আলেপ্পোয় কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছিল।
নিহত ৪২ হাজার ছুঁই ছুঁই
ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ৪২ হাজার স্পর্শ করতে যাচ্ছে। নিহতের মধ্যে তুরস্কে ৩৬ হাজার ১৮৭ জন। সিরিয়ায় ৫ হাজার ৮০০-এর বেশি। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে তুরস্ক ও সিরিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব তথ্য জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভূমিকম্পের ১১তম দিনেও উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এদিন তুরস্কে অন্তত চারজনকে জীবিত উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে। কিন্তু জীবিত উদ্ধার সম্ভাবনা বলতে গেলে প্রায় শেষ হয়ে এসেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে আল জাজিরার প্রতিবেদনে।
৬ ফেব্রুয়ারি শেষ রাতের দিকে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। প্রথম ভূমিকম্পের ৯ ঘণ্টার মাথায় ৭ দশমিক ৪ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে বহু মানুষ। তাদের মধ্যে স্বল্পসংখ্যককেই জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে।
সূত্র : আল জাজিরা, এপি।