প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:১২ পিএম
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:০২ পিএম
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
‘ইন্ডিয়া দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ তথ্যচিত্র তৈরি করায় খোদ বিবিসিকেই ভারতের মাটিতে নিষিদ্ধ করে দেওয়ার আর্জি তোলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট কড়াভাবে সে দাবি খারিজ করে দিয়েছেন।
আদালতে আবেদনকারীর প্রতিনিধিত্বকারী জ্যেষ্ঠ আইনজীবী পিঙ্কি আনন্দ দাবি করেন, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতের ভাবমূর্তি নিয়ে কুৎসা রটাচ্ছে’ বিবিসি। তথ্যচিত্রের এ ‘ষড়যন্ত্র’ যাতে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) খতিয়ে দেখে, সে দাবিও জানানো হয়।
দুই বিচারকের বেঞ্চ এ সময় বলেন, ‘একটি তথ্যচিত্র কীভাবে পুরো দেশকে প্রভাবিত করতে পারে? এটি পুরোপুরি ভুল ধারণা। এটি নিয়ে কীভাবে তর্ক হতে পারে? আপনি আমাদের পূর্ণ সেন্সরশিপ আরোপ করতে বলছেন? এটি কী ধরনের কথা?’
বিবিসির তৈরি তথ্যচিত্রটিতে ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভূমিকা রেখেছিলেন কি-না, সে বিষয়টি অনুসন্ধানের চেষ্টা করা হয়েছে। তথ্যচিত্রটি প্রকাশের পরপরই তোলপাড় শুরু হয় ভারতে।
‘ইন্ডিয়া দ্য মোদি কোয়েশ্চন’ তথ্যচিত্রটি সামাজিক মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। এমনকি এটির প্রদর্শনীকে কেন্দ্র করে ছাত্রদের আটকও করা হয়। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে তথ্যচিত্রটিকে অপপ্রচার বলেও আখ্যা দেওয়া হয়।
সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা রিট পিটিশনে দাবি করা হয়, ‘তথ্যচিত্রটি ভারত এবং এর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈশ্বিক বিকাশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের ফসল। বিবিসির এই তথ্যচিত্রটি ২০০২ সালের গুজরাট সহিংসতার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে যেভাবে সংযুক্ত করছে, তা শুধু তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার শীতল প্রচারণাই নয়, এটি ভারতের সামাজিক কাঠামোকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে বিবিসির হিন্দুবিরোধী প্রচারণা।’
বিচারকরা বলেন, আমরা আর সময় নষ্ট না করি। রিট পিটিশনটি পুরোপুরি ভুল ধারণার ভিত্তিতে তৈরি এবং এর কার্যত কোনো ভিত্তি নেই। ফলে খারিজ করে দেওয়া হলো।’
যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম বিবিসির ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে পিটিশনটি দায়ের করেছিলেন হিন্দু সেনাপ্রধান ভিষ্ণু গুপ্তা।
সূত্র : এনডিটিভি