তেল উৎপাদন কমানোর ঘোষণা রাশিয়ার
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২১:৪৭ পিএম
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:০৫ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
জ্বালানি তেলের উৎপাদন দৈনিক ৫ লাখ ব্যারেল কমানোর ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার নোভাক এ ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত আগামী মার্চ থেকে কার্যকর হবে। তার এই ঘোষণার পর আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়তে শুরু করেছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলো কর্তৃক অপরিশোধিত রুশ তেল ও তেলজাত পণ্যের সর্বোচ্চ মূল্য বেঁধে দেওয়ার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে উৎপাদন কমানোর এই পদক্ষেপ নিয়েছে মস্কো।
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর একপর্যায়ে রুশ তেলের সর্বোচ্চ দাম বেঁধে দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন, শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-৭ ও অস্ট্রেলিয়া। দাম ধরা হয় ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলার। যুদ্ধ থামাতে মস্কোর ওপর চাপ প্রয়োগের অংশ হিসেবে ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার রাশিয়ার পাল্টা পদক্ষেপের ঘোষণায় আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়ে যায় আড়াই শতাংশেরও বেশি। প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত ব্রেন্ট তেলের দাম ৮৬ দশমিক ৬ ডলারে পৌঁছায়।
শুক্রবারের ঘোষণায় আলেক্সান্ডার নোভাক বলেন, ’আজ পর্যন্ত উৎপাদিত তেলের পুরোটাই বিক্রি করা হয়েছে। তবে পশ্চিমাদের বেঁধে দেওয়া সর্বোচ্চ দাম যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মেনে চলবে তাদের কাছে তেল বিক্রি করা হবে না। মস্কো মনে করে, দাম বেঁধে দেওয়া বাজারের ওপর হস্তক্ষেপ। এটি পশ্চিমাদের ধ্বংসাত্মক জ্বালানি নীতির ধারাবাহিকতা।’
সৌদি আরবের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ তেল রপ্তানিকারক দেশ রাশিয়া। ফলে তেলের বাজারে দীর্ঘদিন থেকেই দেশটির ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিন জানিয়েছে, উৎপাদন কমানোর বিষয়ে তেল উৎপাদক দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাসের কয়েকটি সদস্য দেশের সঙ্গে তাদের আলোচনা হয়েছে। তবে সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, এ ইস্যুতে ওপেক প্লাসের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো আলোচনা করেনি মস্কো।