প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:২৩ এএম
ভবিষ্যতে উদ্ধারকাজে রোবট ব্যবহার করা হতে পারে।
তুরস্ক বা সিরিয়ায় ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত কাউকে বের করা যেন এক অলৌকিক ঘটনা। এ ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। তবে ভবিষ্যতে উদ্ধারকাজে রোবট ব্যবহার করা হতে পারে।
শক্তিশালী ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত দেশ দুটিতে উদ্ধারকারীরা এখনও যারা বেঁচে আছেন, তাদের উদ্ধারের জন্য দিন-রাত কাজ করছে। তারপরও জীবিতদের সবাইকে উদ্ধারের সম্ভাবনা দিনে দিনে কমছে। এ ধরনের বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে সময় খুবই মূল্যবান। যত সময় গড়ায় জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা তত কমে।
তুরস্ক ও সিরিয়ায় বিভিন্নভাবে ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া জীবিত ব্যক্তিদের উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। যেখানে জীবিত মানুষ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, উদ্ধারকারীরা সেখানে সরাসরি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন। চিৎকার করে অবস্থান জানানোর পাশাপাশি মোবাইল ফোন থেকে পরিবারের সদস্যদের বার্তা দেওয়ারও অনুরোধ করছেন উদ্ধারকারীরা।
তবে এ ধরনের উদ্ধার তৎপরতায় সাধারণত আধুনিক যন্ত্রপাতির ওপর নির্ভর করতে হয়। নতুন নতুন অনেক সরঞ্জাম যুক্ত হচ্ছে উদ্ধার কাজে।
গত মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি প্রকল্পের আওতায় ধ্বংসস্তূপ থেকে মানুষ উদ্ধারে রোবট ও ড্রোন ব্যবহারের জন্য পরীক্ষা চালানোর কথা জানিয়েছে।
অনুসন্ধান অভিযানে রোবোটিক সরঞ্জাম ও উন্নত সেন্সর সমন্বিত ইনফ্রারেড এবং থার্মাল ক্যামেরার মাধ্যমে ধ্বংসস্তূপের ভেতরে কার্বন ডাই-অক্সাইড এবং মানুষের প্রোটিন বাতাসে পরীক্ষা করা হবে। ফলে জীবিত কেউ থাকলে তা জানা সম্ভব হবে। এরপর উদ্ধারকারীরা লাউডস্পিকার এবং মাইক্রোফোনের সাহায্যে সম্ভাব্য বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করবেন। এ ক্ষেত্রে জীবিত ব্যক্তির অবস্থান নির্ণয়ে ড্রোনের নেওয়া থ্রি-ডি চিত্র কাজে আসবে।