যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১০:১২ এএম
আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১০:৪৭ এএম
আদিদ ফায়াজ
ফেসবুকের মার্কেটপ্লেস থেকে গাড়ি কিনতে গিয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত হয়েছিলেন নিউইয়র্কের পুলিশ বিভাগে কর্মরত পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত আদিদ ফায়াজ। হাসপাতালে তিন দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ব্রুকলিনের ব্রুকডেইল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে।
৪ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে ইস্ট নিউইয়র্কের লিনডেন বুলেভার্ডের কাছে রুবি স্ট্রিটে গুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন বন্দুকধারী ব্র্যান্ডি জোন্স নামে একজনকে সোমবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট (এনওয়াইপিডি) জানিয়েছে, ২৬ বছর বয়সি পুলিশ কর্মকর্তা আদিদ ফায়াজ ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে গাড়ি কেনার জন্য ইস্ট নিউইয়র্কের লিনডেন বুলেভার্ডে যান। সেখানে বিক্রেতা একটি বন্দুক বের করে তার কাছ থেকে অর্থ ডাকাতির চেষ্টা করেন। তদন্তকারীরা বলেছেন, তারা বিশ্বাস করেন না যে সন্দেহভাজন ব্যক্তি জানতেন যে ভুক্তভোগী এনওয়াইপিডির সদস্য ছিলেন। তিনি লং আইল্যান্ডের ডিয়ার পার্কের বাসিন্দা।
তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে পোস্ট করা হোন্ডা পাইলট বিক্রির কথা বলে ৪ ফেব্রুয়ারি অফ ডিউটি অফিসার আদিদ ফায়াজকে ইস্ট নিউইয়র্কে নিয়ে যান জোন্স। অফিসার ফায়াজ এবং তার শ্যালক যখন উপস্থিত হন, তখন জোন্স মজা করে জিজ্ঞাসা করেন, তাদের কাছে বন্দুক আছে কি না। এ সময় মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে টাকা দাবি করেন জোন্স। ফায়াজ পালানোর চেষ্টা করলে সন্দেহভাজন ব্যক্তি তাকে লক্ষ করে ৬ রাউন্ড গুলি ছুড়ে একটি কালো অটোতে করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
অফিসার ফায়াজের শ্যালকের গাড়ির ড্যাশ ক্যামের মাধ্যমে সন্দেহভাজনের গাড়িটি শনাক্ত করে পুলিশ। পরে জোন্সকে রকল্যান্ড কাউন্টিতে ট্র্যাক করে, যেখানে তিনি তার বান্ধবী এবং পাঁচ সন্তানের সঙ্গে লুকিয়ে ছিলেন। সেখান থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ তাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
নিউইয়র্কের পাকিস্তান কনস্যুলেট একটি বিবৃতিতে এনওয়াইপিডি অফিসার আদিদ ফায়াজের পরিবার এবং সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে।