প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২২ ১১:২২ এএম
আপডেট : ২৭ আগস্ট ২০২২ ১৩:৩২ পিএম
১৯৯০ সালে পাক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। ছবি : বিবিসি।
হাঙ্গেরিতে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে রাশিয়া দুটি পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণকাজ শুরু করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিজ্জার্তো। মস্কোর রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থা রোসাটম এ নির্মাণকাজ পরিচালনা করবে বলে জানান তিনি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) এ সদস্য রাষ্ট্রটির মধ্যে পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণের চুক্তি হয় ২০১৪ সালে। হাঙ্গেরির পাকস পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের শক্তি আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে এ চুক্তি করা হয় বলে জানায় দেশটি। দেশটির ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ আসে এ পারমাণবিক কেন্দ্র থেকে।
রুশ বাহিনী ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে ইইউ এর নিন্দা জানিয়ে আসছে। পাশাপাশি দেশটি থেকে তেল, গ্যাস আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। মস্কোর এ অভিযানের কারণে ইইউ রাষ্ট্রগুলো যখন দেশটির জ্বালানি ব্যবস্থার ওপর নির্ভরতা কমাতে চাইছে, এমন সময়ে এসে হাঙ্গেরি নতুনভাবে সম্পর্ক গড়ে তুলছে এ দেশটির সঙ্গে।
ইইউর সদস্য রাষ্ট্র হয়েও তারা পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণে মস্কোর সহায়তা চেয়েছে। এ ছাড়া দেশটি রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাকেও সমর্থন জানায়নি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিজ্জার্তো এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘নির্মাণ শুরু করা যাক!’
তিনি বলেন, পাকস পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চারটি সোভিয়েত নির্মিত চুল্লি দিয়ে গঠিত। নতুন এ নির্মাণ কাজের মধ্য দিয়ে আরও দুটি চুল্লি যোগ হবে। যা এর ক্ষমতাকে দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়ে দেবে বলে।
পিটারের বক্তব্য উদ্ধৃত করে এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, এটি একটি বড় পদক্ষেপ এবং গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন। এর মধ্য দিয়ে আমরা দীর্ঘমেয়াদে হাঙ্গেরির জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারব। এ ছাড়া জ্বালানির দামের পরিবর্তনের ফলে প্রভাব যে দেশে পড়ছে তা থেকে রক্ষা পাব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার জানান, এ পারমাণবিক চুল্লি ২০৩০ সাল নাগাদ ব্যবহার করা যাবে। এ প্রজেক্টের মোট ব্যয় এক হাজার ২৪০ কোটি মার্কিন ডলার। যার সিংহভাগ বহন করবে রাশিয়া।
প্রবা/এনএস /এসআর