প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২২ ১৫:০৬ পিএম
আপডেট : ২৬ আগস্ট ২০২২ ১৭:১২ পিএম
গুলাম নবী আজাদ
এবার কংগ্রেস ছাড়লেন দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা গুলাম নবী আজাদ। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়া দলটি থেকে তার ইস্তফা দেওয়ার কথা কিছু দিন ধরে শোনা যাচ্ছিল। শুক্রবার সর্বভারতীয় দলটির সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি দিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক এই মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করেন।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, পদত্যাগের জন্য কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে সরাসরি দায়ী করেছেন গুলাম নবী আজাদ। তিনি বলেন, দলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ভেঙে ফেলার জন্য রাহুলের অপরিপক্বতাই দায়ী।
গুলাম নবী কংগ্রেসের নেতৃস্থানীয় ভিন্নমতাবলম্বী জি-২৩ বা ২৩ গ্রুপের সদস্য হিসেবে পরিচিত। যারা ২০২০ সালে সোনিয়া গান্ধীকে পূর্ণকালীন নেতৃত্ব দেওয়া এবং দলে সংস্কার করার আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন।
শুধু গুলাম নবীই নয়। এর আগে কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা একই অভিযোগে কংগ্রেস ছেড়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন বিখ্যাত আইনজীবী কপিল সিবাল, হার্দিক প্যাটেল, সুনিল জাখর, অশ্মিনী কুমার, আরপিএন সিং, জয়ভীর শেরগিল ও কুলদীপ বিষ্ণোই।
এর কয়েক দিন আগেই জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবী।
সবশেষ শুক্রবার সোনিয়া গান্ধীকে পাঁচ পৃষ্ঠার পদত্যাগপত্র লিখেছেন এ কাশ্মীরি নেতা। এতে তিনি দলের সঙ্গে তার দীর্ঘ সম্পর্ক এবং ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেছেন। স্বাস্থ্য সমস্যা উল্লেখ করে জম্মু ও কাশ্মীরের সাংগঠনিক পদ থেকে পদত্যাগ করার কয়েক দিন পরই গুলাম নবী তার বিশদ পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, দলের পরিস্থিতি 'নো রিটার্ন'-এর পর্যায়ে পৌঁছেছে।
কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব ধরনের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া গুলাম নবী অভিযোগ করেন, ‘রাহুল গান্ধী দলে সক্রিয় হওয়ার পর দল কার্যত ধ্বংসের দিকে এগোচ্ছে। দলে কোনো গণতন্ত্র নেই। প্রবীণ নেতাদের কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে।'
বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতা আরও দাবি করেন, ‘২০১৪ সালে ইউপিএ সরকারের হারের অন্যতম কারণ রাহুল গান্ধীই। তার অপরিপক্ব নেতৃত্ব ও ছেলেমানুষিই এই পরাজয় ডেকে আনে। যেভাবে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের পাস করানো একটি অধ্যাদেশ প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলেছিলেন, তাতেই প্রচারের হাতিয়ার পেয়েছিলেন বিরোধীরা।’
কংগ্রেসের সাবেক এই মন্ত্রীর পদত্যাগে দলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। কংগ্রেসের যোগাযোগ বিভাগের প্রধান জয়রাম রমেশ বলেছেন, কংগ্রেস যখন দেশব্যাপী দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বেকারত্ব ও মেরুকরণ ইস্যুতে ক্ষমতাসীন বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ছে, তখন তার পদত্যাগ দুঃখজনক।
কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অজয় মাকেন বলেন, গুলাম নবী আজাদ কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা ছিলেন। তবে তিনি এমন সময় পদত্যাগ করলেন যখন দল দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ অন্যান্য ইস্যুতে লড়ছে।
প্রবা/এইচকে/এমজে/এমআই