প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:৫০ পিএম
আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:৫২ পিএম
আদানি গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ভারতীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কতটা জড়িয়ে সে-সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া।সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সপ্তাহখানেক আগে মার্কিন শর্ট-সেলার প্রতিষ্ঠান হিনডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদন প্রকাশের জেরে শেয়ারমূল্য কমতে শুরু করে আদানি গ্রুপের। পাশাপাশি ব্যাপক হারে কমতে শুরু করে ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির ব্যক্তিগত সম্পদও।
আদানি গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দরপতন বুধবারও অব্যাহত ছিল। এর জেরে এশিয়ার শীর্ষ ধনীর মুকুটও হারিয়েছেন গৌতম আদানি। সব মিলিয়ে আদানি গ্রুপের মূলধন কমে ৭ হাজার ৬৮০ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। ফোর্বস ম্যাগাজিনের সেরা ধনীর তালিকায় ১৫তম স্থানে চলে এসেছেন গৌতম আদানি।
হিনডেনবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, আদানি গোষ্ঠীর ঘাড়ে বিশাল অঙ্কের ঝুঁকিপূর্ণ দেনা। তাদের শেয়ারদরও ‘অতিরিক্ত মূল্যায়ন’ করা। ফলে যেকোনো সময়ে পতন হতে পারে আদানি সম্রাজ্যের।
এর পরপরই শেয়ার বাজারে ঝড়ের মুখে পড়ে আদানি গ্রুপ। তারা অবশ্য এরই মধ্যে হিনডেনবার্গ রিসার্চের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। জানিয়েছে, তাদের ক্রেডিট রেটিং যথেষ্ট ভালো। প্রতিবেদন উল্লেখিত তথ্য আদতে মার্কিন সংস্থার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চক্রান্ত। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ধস থামেনি আদানির।
গত বছরও চিত্র ছিল ভিন্ন। ২০২২ সালে আদানি এন্টারপ্রাইজেসের শেয়ার প্রায় ১২৫% বৃদ্ধি পেয়েছিল। ফলে বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তির আসনে চলে আসেন গৌতম আদানি। গ্রুপের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোরও শেয়ারদর প্রায় ১০০% বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়।
বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি ডলারের ঋণ নিয়েছে আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
আদানি নিয়ে উত্তাল রাজ্যসভা
বাজেট অধিবেশনের তৃতীয় দিনের শুরুতেই আদানি ইস্যুতে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্যসভা। শেয়ার বাজারে আদানি গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ধস নিয়ে আলোচনার দাবিতে নোটিশ দেন কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, শিবসেনার প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী, আম আদমি পার্টিসহ (আপ) ৯ জন বিরোধী সদস্য। শেয়ার বাজারে আদানি গ্রুপের ধস এবং ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ওপর কী প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে আলোচনার দাবি জানান তারা।
আদানি গ্রুপের বিষয়টি নিয়ে তদন্তের জন্য যৌথ কমিটি গঠনের দাবিও জানান কংগ্রেস, শিবসেনা, আপসহ বিরোধীরা।
তারা বলছেন, এলআইসি, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের বিনিয়োগ থাকায় কোটি কোটি অর্থমূল্যের ভারতীয় সঞ্চয় বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে আছে। তবে বিরোধীদের সব নোটিশ খারিজ করে দিয়েছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। তারপর হট্টগোল শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত দুপুরে রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতবি করে দেওয়া হয়।
সূত্র: রয়টার্স