প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:১৭ পিএম
আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:৩৯ পিএম
ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। ২ ফেব্রুয়ারি। ছবি : সংগৃহীত
ফিলিপাইনের আরও চারটি সামরিক ঘাঁটি ব্যবহার করার অনুমতি পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফিলিপাইনে সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বৃহস্পতিবার এ কথা জানান। পরে উভয় দেশের প্রতিরক্ষা বিভাগের এক যৌথ বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত ওই যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ফিলিপাইন ও যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের মধ্যে স্বাক্ষরিত এনহেন্সড ডিফেন্স কো-অপারেশন অ্যাগ্রিমেন্ট (ইডিসিএ) পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে চায়। তারই ধারাবাহিকতায় ফিলিপাইনের আরও চারটি সামরিক ঘাঁটি ব্যবহার করবে যুক্তরাষ্ট্র।
২০১৪ সালে ইডিসিএ সই হওয়ার পর থেকে ফিলিপাইনের পাঁচটি সামরিক ঘাঁটি ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা, সামরিক সরঞ্জাম ইত্যাদি রয়েছে। ইডিসিএর অধীনে উভয় দেশ নিয়মিত সামরিক মহড়ায় অংশ নেয়।
আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক প্রেসিডেন্ট রুদ্রিগো দুতার্তের সময়ে যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইন সম্পর্কের অবনতি হয়। দুতার্তে চীনের দিকে ঝোঁকেন। প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের বের করে দেওয়ার হুমকি দেন।
কিন্তু গত জুনে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক নবায়ন শুরু করেন ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ম্যানিলা সফরের পর তা আরও পোক্ত হয়।
এদিকে ফিলিপাইনের নতুন চারটি ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের প্রবেশাধিকারের বিষয়টি জানানো হলেও, ঘাঁটিগুলোর নাম প্রকাশ করা হয়নি। দেশটির যেসব ঘাঁটিতে ২০১৪ সাল থেকে মার্কিন সেনারা অবস্থান করছেন, সেগুলোর মধ্যে চীনের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ অঞ্চলের নিকটবর্তী অঞ্চলের ঘাঁটিও রয়েছে।
চীনের সঙ্গে বিরোধ
দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে চীনের সঙ্গে ফিলিপাইনসহ প্রতিবেশী আরও অনেকগুলো দেশের বিরোধ রয়েছে। অন্যদিকে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই সাগরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের শ্যেনদৃষ্টি। তাই এ অঞ্চলের চীনবিরোধীদের এক করতে চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের এক শীর্ষ কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, ’বেইজিং দক্ষিণ চীন সাগরে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে। এতে করে অন্য প্রতিবেশীর মতো ফিলিপাইনও প্রতি মুহূর্তে চাপে রয়েছে। এ অবস্থায় নিজেদের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে ফিলিপাইনকে সহায়তা করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।’
২০১২ সালে ফিলিপাইনের কাছ থেকে দক্ষিণ চীন সাগরের স্কারবোরো শোল দ্বীপ দখল করে নেয় চীন। সাগরটিতে চীনের অবৈধ আধিপত্যের প্রতিবাদ জানানোর পর ২০২১ সালে উভয় দেশের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে।
তার আগে ২০১৬ সালে দ্য হ্যাগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে চীন ও ফিলিপাইনের বিরোধ নিয়ে একটি রায় দেয়। এতে সাগরটির ওপর চীনের একচেটিয়া অধিকারের দাবি বাতিল করে দেয় আইসিজে। কিন্তু চীন তা মানছে না।
সূত্র : আলজাজিরা।