প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০১:৩৪ এএম
আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০১:৫০ এএম
আরও সাড়ে ২০ হাজার কোটি টাকা (২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার) হারিয়ে বড় ধাক্কা খেল আদানি গ্রুপ। শেয়ারবাজার থেকে এই পরিমাণ টাকার এফপিও (নতুন শেয়ার) তুলে নিতে বাধ্য হলো ভারতের বহুজাতিক এই শিল্পগোষ্ঠীটি। এখন এই টাকা বিনিয়োগকারীদের ফিরিয়ে দিতে হবে। বুধবার (১ জানুয়ারি) আদানি এন্টারপ্রাইজ এই ঘোষণা দিয়েছে। আদানির ধাক্কা ভারতের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে বলে দেশটির গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে।
গতকাল পর্যন্ত আদানি এন্টারপ্রাইজের এফপিওতে শেয়ার বিক্রি হচ্ছিল। তবে হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট সামনে আসার পর থেকে তা এতটাই কমে যায় যে, শেয়ার কেনার আবেদন নেমে যায় মাত্র ১ শতাংশে। যে কারণে তাদের সামনে আর কোনো পথও নেই।
আদানি শিল্পগোষ্ঠীর জালিয়াতির প্রমাণ দিয়ে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদন সামনে আসার পর থেকে তাদের সাতটি কোম্পানির টানা দরপতন চলছে। এ পরিস্থিতিতে আদানি এন্টারপ্রাইজের নতুন শেয়ার ছাড়ার (এফপিও) প্রক্রিয়া থামাতে হলো। এ ঘটনা এমন দিনে হলো, যে দিন ভারতের কেন্দ্রীয় বাজেট প্রস্তাব করেছেন নরেন্দ্র মোদির অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদন সামনে আসার পর গত সপ্তাহে আদানি গ্রুপ জানিয়েছিল, তারা এফপিও ছাড়ার সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসবে না। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার গবেষণা প্রতিষ্ঠানটিকে দেওয়া ৪১৩ পাতার জবাবে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে ‘ভারত, দেশের প্রতিষ্ঠান ও প্রবৃদ্ধির ওপর আক্রমণ’ বলে অভিহিত করেছিল তারা। তবে শেষ পর্যন্ত নতুন শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের টাকা ফিরিয়েই দিতে হচ্ছে তাদের।
হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদন প্রকাশের পর শেয়ারবাজারে দরপতনের কারণে আদানি গ্রুপ প্রায় ৫ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা হারিয়েছে। আর সব মিলে এই গ্রুপে বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছেন প্রায় ১১ লাখ কোটি টাকার শেয়ার সম্পদ। এ নিয়ে ভারতের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো তদন্তে নেমেছে।
ভারতের ধনকুবের গৌতম আদানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুসম্পর্কের কথা সবার জানা। ফলে আদানির জালিয়াতির সঙ্গে মোদিকে জড়িয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছে কংগ্রেসসহ ভারতের বিরোধী দলগুলো। সূত্র : দ্য হিন্দু, আলজাজিরা, ইন্ডিয়া টুডে