প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:৫৩ পিএম
আপডেট : ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ ২২:০৯ পিএম
নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্র আধুনিকীকরণ অব্যাহত রেখেছে ভারত। ছবি: সংগৃহীত
নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্র আধুনিকীকরণ অব্যাহত রেখেছে ভারত। এতদিন এটি করা হচ্ছিল পাকিস্তানের কথা মাথায় রেখে। এখন সে তালিকায় যোগ হয়েছে চীনের নামও। ২০২২ সালে ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্টস (এফএএস) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।
এফএএসের তথ্যানুসারে, বর্তমানের সক্ষমতার বদলি এবং উত্তরসূরি হিসেবে অন্তত চারটি অস্ত্রব্যবস্থা নির্মাণাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। এ মুহূর্তে দেশটির হাতে পারমাণবিক সক্ষমতার আকাশযান, স্থলভিত্তিক সরবরাহ ব্যবস্থা এবং সাবমেরিন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার মতো সক্ষমতা রয়েছে। এ তিন নিয়েই গড়ে উঠেছে ভারতের পারমাণবিক ত্রয়ী।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের এ মুহূর্তে আটটি ভিন্ন ভিন্ন পারমাণবিক সক্ষমতা ব্যবস্থা পরিচালনার সক্ষমতা রয়েছে। এর মধ্যে দুটি আকাশযান, চারটি স্থলনির্ভর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং দুটি নৌনির্ভর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। অন্তত আরও চারটি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। এগুলোর বেশিরভাগই প্রায় তৈরি হয়ে গেছে এবং অতি শিগগির যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে। বেইজিং এখন ভারতীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় রয়েছে।
এফএএসের প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন হানস এম ক্রিস্টেনসেন এবং ম্যাট করডা। তারা বলছেন, ভারত ‘আনুমানিক সাতশ কিলোগ্রাম অস্ত্র মানের প্লুটোনিয়াম তৈরি করেছে, যা ১৩৮ থেকে ২১৩টি পারমাণবিক ওয়ারহেডের (ক্ষেপণাস্ত্রের বিস্ফোরক মুখ) জন্য যথেষ্ট। তবে এখনও সেগুলোকে ওয়ারহেডে রূপান্তর করা হয়নি।’
সংস্থাটির তথ্যানুসারে, ভারতের সংগ্রহে আনুমানিক ১৬০টি পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে। নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য তাদের আরও ওয়ারহেডের প্রয়োজন পড়বে। অন্যদিকে, পাকিস্তানের হাতে ওয়ারহেড রয়েছে ১৬৫টি; চীনের ৩৫০টি, যুক্তরাষ্ট্রের ৫,৪২৮টি এবং রাশিয়ার ৫,৯৭৭টি।
ভারতের অস্ত্র মানের প্লুটোনিয়ামের উৎস হিসেবে ধরা হচ্ছে মুম্বাইয়ের ভভ অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার ধ্রুব রিঅ্যাক্টর (পারমাণবিক চুল্লি)-কে। এফএএসের প্রতিবেদন বলছে, আরও একটি রিঅ্যাক্টর তৈরির মাধ্যমে নিজেদের প্লুটোনিয়াম সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করতে চাইছে দেশটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের প্রাথমিক প্রতিরোধমূলক সম্পর্কটি পাকিস্তানের সঙ্গে। কিন্তু চীন প্রশ্নেও যে দেশটি গুরুত্ব দিচ্ছে, তা তাদের পরমাণু আধুনিকীকরণ প্রচেষ্টা থেকে বোঝা গেছে।
আরও বলা হয়েছে, ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের বন্দরনগরী বিশাখাপাটনাম থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে রামবিলি গ্রামে আইএনএস ভার্সা নামে একটি অতিগোপন ঘাঁটি গড়ে তোলা হচ্ছে। সেখানে একটি পাহাড়ে অনেক সুড়ঙ্গ প্রবেশ করেছে এবং বড় বড় স্তম্ভ দেখা গেছে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া