প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:২৯ পিএম
আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:৪৬ পিএম
পূর্ব লাদাখে ২০২০ সালে ভারত-চীনের সেনারা বড় ধরনের সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকেই সীমান্তে টহল পয়েন্টে অধিকার হারাতে থাকে ভারত। ছবি: সংগৃহীত
পূর্ব লাদাখের চীন সীমান্তে দু-এক বছর আগেও ৬৫টি পয়েন্টে টহল দিতে পারত ভরত। কয়েক বছরে তার মধ্যে ২৬টি পয়েন্টে টহলের অধিকার হারিয়েছে দেশটি। গত সপ্তাহে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বার্ষিক সম্মেলনে উপস্থাপন করা এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
লাখাদের মূল শহর লেহের পুলিশপ্রধান পিডি নিত্য আলোচিত প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন। এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘পূর্ব লাদাখে হাতে-কলমে আমাদের ৬৫টি টহল পয়েন্ট আছে। কারাকোরাম থেকে চুমুর পর্যন্ত এসব পয়েন্ট বিস্তৃত। এক সময় এসব পয়েন্টে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী (আইএসএফ) নিয়মিত টহল দিতে পারত। কিন্তু বর্তমানে আমরা কেবল ৩৯টা পয়েন্টে টহল দিতে পারি। অর্থাৎ আমরা ২৬টা পয়েন্টে টহলের অধিকার হারিয়েছি।’
প্রতিবেদনটি উপস্থানের সময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল উপস্থিত ছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে।
চীনের সঙ্গে ভারতের প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমাটার সীমান্ত রয়েছে, যা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) নামে পরিচিত। এলএসির অধিকাংশ অমিমাংসীত। লাদাখের গ্যালওয়ান ভ্যালিতে ২০২০ সালে ভারত-চীনের সেনারা বড় ধরনের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ভারতের ২০ এবং চীনের চার জন সেনা নিহত হয়।
সর্বশেষ গত ৯ ডিসেম্বর অরুণাচল প্রদেশেও দুদেশের সেনারা হাতাহাতি ও লাঠালাঠিতে জড়িয়ে পড়ে। এতে কেউ নিহত না হলেও তা নিয়ে বিজেপি সরকার বেশ চাপের মুখে পড়ে।
সূত্র: এনডিটিভি।