প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৩ ১২:০৪ পিএম
আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:১২ পিএম
জাসিন্ডা আরডার্ন ও ক্রিস হিপকিন্স। ছবি : সংগৃহীত
জাসিন্ডা আরডার্নের পদত্যাগের পর নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ক্রিস হিপকিন্স। তিনি বর্তমানে দেশটির পুলিশ, জনসেবা ও শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
হিপকিন্স ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির দলীয় প্রধান হিসেবে মনোনীত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
রবিবার দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে লেবার পার্টির আনুষ্ঠানিক সমর্থন পেলে ৪১তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেবেন হিপকিন্স।
চলতি বছরের অক্টোবরে নিউজিল্যান্ডে সাধারণ নির্বাচন। এ কারণে তার মেয়াদ সংক্ষিপ্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
৪৪ বছর বয়সি এই রাজনীতিবিদ ২০০৮ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ২০২০ সালে করোনা ব্যবস্থাপনাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।
আগামীকাল আরডার্ন আনুষ্ঠানিকভাবে গভর্নর জেনারেলের কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। এরপর রাজা চার্লস তৃতীয় হিপকিন্সকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
জাসিন্ডা ২০১৭ সালে ৩৭ বছর বয়সে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ নারী সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন।
জনমত জরিপে মূল্যস্ফীতি এবং ক্রমবর্ধমান সামাজিক বৈষম্যের কারণে বর্তমানে আরডার্নের জনপ্রিয়তা তলানিতে নেমে এসেছে।
আরডার্নের পদত্যাগের ঘোষণায় দেশটির জনগণ মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। কেউ কেউ বলেন, তিনি দেশকে নিক্ষেপ করার আগে পালিয়ে যাচ্ছেন।
তবে নিউজিল্যান্ডের প্রখ্যাত অভিনেতা স্যাম নিল বলেছেন, তিনি গুন্ডামি ও দুর্বৃত্তদের কাছ থেকে অসম্মানজনক আচরণের মুখোমুখি হওয়ার কারণে পদত্যাগ করেছেন।
সূত্র : বিবিসি ও আলজাজিরা