প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:৩৫ পিএম
আপডেট : ১৩ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:৫৭ পিএম
রুশ হামলায় বিধ্বস্ত সোলেদার শহর। ১০ জানুয়ারি স্যাটেলাইটে তোলা। ছবি : সংগৃহীত
ইউক্রেনের পূর্ব দিকের দোনেৎস্ক প্রশাসনিক অঞ্চলের সোলেদার শহরে সম্প্রতি তীব্র যুদ্ধ চলছিল। কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শহরটি বৃহস্পতিবার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রাশিয়া। শুক্রবার এক বিবৃতিতে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ দাবি করে।
শুক্রবারের (১৩ জানুয়ারি) বিবৃতিতে বলা হয়, বেসরকারি সামরিক কোম্পানি ওয়াগনার গ্রুপ সোলেদার শহরের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। শহরটির বিস্তৃত আন্ডারগ্রাউন্ড টানেলে সম্প্রতি ব্যাপক যুদ্ধ হয়েছে। টানেলটি পরিষ্কারের কাজ চলছে। সোলেদার নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ফলে পার্শ্ববর্তী বাখমুত শহরে আসন্ন অভিযান পরিচালনা সহজতর হবে।
আরটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সোলেদার দনবাসের দোনেৎস্কের একটি ছোট শহর। লবণ খনির জন্য বিখ্যাত সোলেদার শহরটি ছোট হলেও অবস্থানগত কারণে গুরুত্বপূর্ণ। রাশিয়ার চোখ এখন সোলেদারের পার্শ্ববর্তী বাখমুখ নগরীর দিকে। এটি দখল নিতে পারলেই পুরো দোনেৎস্ক প্রশাসনিক অঞ্চল রাশিয়ার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে।
সেপ্টেম্বরে ইউক্রেনের যে চারটি অঞ্চলকে রাশিয়া নিজের অংশ ঘোষণা করে, দোনেৎস্ক তাদের একটি।
সোলেদার হারানোর কথা তাৎক্ষণিকভাবে স্বীকার করেনি ইউক্রেন।
সোলেদারের গুরুত্ব
প্রাকৃতিক সম্পদ, বিশেষত লবণ খনির জন্য সোলেদার অত্যন্ত বিখ্যাত। ইউরোপের লবণের একটি বড় জোগান আসে এই শহর থেকে।
অন্যদিকে, দোনেৎস্কের সর্বশেষ নগরী বাখমুত দখলে নেওয়ার জন্য সোলেদার দখলে নেওয়া দরকার ছিল। এখন যেকোনো সময় বাখমুতের পতন হতে পারে। এটির পতন হলে পার্শ্ববর্তী খেরসন, লুহানস্কে রুশদের অবস্থান আরও সংহত হবে।
গত সেপ্টেম্বরে রাশিয়া ইউক্রেনের যে চারটি প্রশাসনিক অঞ্চল নিজের অংশ ঘোষণা করে, দোনেৎস্ক তাদের একটি। ঘোষিত চার অঞ্চলের কোনোটিতেই এখন পর্যন্ত রুশদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই। এ অবস্থায় দোনেৎস্কই প্রথম রুশদের পূর্ণ করতলে যাচ্ছে।
সোলেদার দখলের প্রতীকী গুরুত্ব হলো, আগস্টের পর থেকে রণক্ষেত্রে রাশিয়ার কোনো অগ্রগতি নেই। বরং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রশাসনিক অঞ্চল জাপোরিঝিয়া ও খেরসন থেকে দুদফায় রুশ সেনারা পিছু হটেছে। এ অবস্থায় সোলেদারের দখল রুশদের চাঙা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র : আরটি।