প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২২ ১৬:৩৩ পিএম
আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২২ ১৬:৩৯ পিএম
ছবি : এনডিটিভি।
ভারতের হিমাচল প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা এবং ভূমিধসের পৃথক ঘটনায় ছয়জন নিহত হয়েছে। এতে আরও ১৩ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করছেন কর্তৃপক্ষ।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজ্যের হামিরপুর জেলায় আকস্মিক বন্যার পরে আটকে পড়া ২২ জনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী জয় রাম ঠাকুর এ দুর্যোগে নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোতে গুরুত্বের ভিত্তিতে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের তথ্যানুযায়ী, চাম্বা জেলায় বৃষ্টির কারণে ভূমিধসের পর বাড়িধসের ঘটনা ঘটে। বাড়িধসের ঘটনায় তিনজন নিহত হন।
চাম্বা জেলা জরুরি অপারেশন সেন্টার (ডিইওসি) জানিয়েছে, ভোর সাড়ে ৪টার দিকে চাওয়ারি তহসিলের বানেট গ্রামে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে--যার পরে একটি বাড়ি ধসে পড়ে, এতে তিনজন নিহত হয়।
অন্যদিকে মান্ডিতে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট ভূমিধস এবং আকস্মিক বন্যায় একটি মেয়ে নিহত হয়েছে এবং আরও ১৩ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।
রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৯ আগস্ট) রাতে বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে মেয়েটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার পরিবারের পাঁচ সদস্য পানিতে ভেসে যায়।
বাঘি থেকে পুরাতন কাটোলা এলাকার মধ্যে অবস্থিত বেশ কিছু পরিবার ভারী বৃষ্টির পর তাদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
এ ছাড়াও গোহর উন্নয়ন ব্লকের কাশান গ্রামে ভূমিধসের পর বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে অন্য পরিবারের আট সদস্যের চাপা পড়ার আশঙ্কার কথা জানায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ। তবে এখনও দেহগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
বন্যার কারণে মান্ডি জেলার অনেক রাস্তাঘাট চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। চলমান প্রবল বৃষ্টির কারণে হিমাচল প্রদেশের মান্ডি জেলার স্কুলগুলো বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে প্রশাসন।
রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের পরিচালক সুদেশ কুমার মোক্তা জেলা জরুরি অপারেশন সেন্টারকে (ডিইওসিএস), ভূমিধস, আকস্মিক বন্যা, পাথরধস, নদীতে পানির উচ্চতা হঠাৎ বৃদ্ধির কারণে ক্ষতি হওয়ায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
ভারতের আবহাওয়া দপ্তর আগামী ২৮ আগস্ট পর্যন্ত এমন মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে।
এরপরই কাংড়া জেলা প্রশাসক নিপুণ জিন্দাল পর্যটক ও জনগণকে নদী ও স্রোতের কাছাকাছি যেতে বারণ করে নির্দেশনা জারি করেন।
প্রবা/এনএস/জেআই