প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:৫০ পিএম
আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:২২ পিএম
বিস্ফোরণস্থলে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে তালেবানের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। ১১ জানুয়ারি কাবুলে। সংগৃহীত
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশে এক আত্মঘাতি বিস্ফোরণে অন্তত ২০ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চীনের এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক চলাকালে বুধবার বিকালে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে, ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্টের (আইএসআইএল) স্থানীয় শাখা আইএসআইএসকে হামলার জন্য সন্দেহ করা হচ্ছে।
কাবুল পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জারদান বলেন, ‘আজ (বুধবার, ১১ জানুয়ারি) বিকাল ৪টার দিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অদূরে একটি আত্মঘাতি হামলার ঘটনা ঘটে। নিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।’
পুলিশের এই মুখপাত্র হতাহতের সংখ্যা উল্লেখ না করলেও নিহতের সংখ্যা অন্তত ২০ জন হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে।
তালেবানের তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মুজাহির ফারাহি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি চীনা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল। কিন্তু বিস্ফোরণের সময় চীনা প্রতিনিধিরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছিলেন কিনা, সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই।’
তবে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তার রাতে তখন বৈঠকটি চলছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে এএফপির প্রতিবেদনে। আর কাবুলের যে অঞ্চলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, সেখানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছাড়াও আরও কিছু মন্ত্রণালয় ও গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কার্যালয় রয়েছে।
তালেবানের নিরাপত্তা সংকট
২০২১ সালের আগস্টে ২০ বছরের যুদ্ধ শেষে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা অত্যন্ত করুণভাবে আফগানিস্তান ত্যাগ করে। পশ্চিমাদের দেশত্যাগের আগে তাদের সমর্থিত আশরাফ গনি সরকারের পতন হয়। প্রায় বিনা বাধায় কাবুল দখল তথা আফগানিস্তানের রাষ্ট্রক্ষমতায় ফেরে তালেবান।
দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে নিরাপত্তা সমস্যা নিয়ে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে তালেবান। এরপর থেকে প্রায় প্রতি সপ্তাহে দেশটিতে সন্ত্রাসী হামলা হচ্ছে।
দেশটির সন্ত্রাসী হামলাগুলোকে মোটাদাগে তিন ভাগ করা যায়। এক. শিয়া ধর্মাবলম্বী হাজারা জনগোষ্ঠীর মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা। দুই. বিদেশি স্থাপনায় হামলা। তিন. সাধারণ হামলা।
শুরুর দিকে হাজারা জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা বেশি হলেও সম্প্রতি তা কমেছে। তবে, বিদেশি দূতাবাস, বিদেশি ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে হামলা বেড়েছে। বিশেষ করে গত কয়েক মাসে রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তানের দূতাবাসের আশেপাশে আত্মঘাতি ও সাধারণ বোমা হামলা এবং বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এসব হামলার বেশির ভাগের দায় স্বীকার করেছে আইএসআইএস।