প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:২৭ পিএম
আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:৫৪ পিএম
মৃত্যুদণ্ডের আদেশপ্রাপ্ত সালেহ মিরহাশেমি, মাজিদ কাজেমি ও ইয়াঘোর কোর্দসোফলা। ছবি : সংগৃহীত
হিজাববিরোধী আন্দোলনে যুক্ত আরও তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ইরানের আদালত। তিনজনেরই অপরাধ আন্দোলন চলাকালে তারা দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর তিন কর্মীকে হত্যা করেছেন।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) মৃত্যুদণ্ডের আদেশপ্রাপ্ত তিনজন হলেন—সালেহ মিরহাশেমি, মাজিদ কাজেমি ও ইয়াঘোর কোর্দসোফলা। তবে তারা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন বলে জানা গেছে।
তিনজনের বিরুদ্ধেই নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে যে অভিযুক্তরা ধর্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। যার সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড।
এ নিয়ে তিন মাসে ১৭ জনকে এই সর্বোচ্চ সাজা শোনানো হলো। এর মধ্যে দুজনের সাজা স্থগিত রেখেছেন সুপ্রিম কোর্ট। বাকিদের মামলা চলছে।
চলমান আন্দোলনের ইস্যুতে ইরানে এরই মধ্যে চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। অভিযুক্ত এক আন্দোলনকারীকে প্রকাশ্যে ক্রেন থেকে ঝুলিয়ে ফাঁসি দেওয়া হয়।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) মোহাম্মদ মেহদি কারামি ও সাইদ মোহাম্মদ হোসেনির ফাঁসি কার্যকর হয়। মোহসেন শেকারি ও মাজিদ রেজা রাহনারবাদ নামে দুই আন্দোলনকারীকেও ডিসেম্বরে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।
দুজনে দুটি পৃথক ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন। হিজাববিরোধী আন্দোলন দমন করতে ইরান সরকারের এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ পুরো বিশ্ব। তেহরানের বিরুদ্ধে একাধিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব।
সম্প্রতি ফেসবুকে একটি স্লোগান ভাইরাল হয়েছে, ‘ডেথ টু খামেনি’। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে নিয়ে এ পোস্টে শোরগোল পড়েছে।
হিজাববিরোধীদের বক্তব্য, ‘ডেথ’ বলতে ‘ডাউন উইথ খামেনি’ বা ‘খামেনির পতন’ বোঝানো হচ্ছে।
চার মাস আগে সঠিক নিয়মে হিজাব না পরায় আটক মাহসা আমিনি নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় ১৬ সেপ্টেম্বর মারা যান। তার মৃত্যুর পরই ইরানে হিজাববিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। যা একসময় রূপ নেয় সরকার বিরোধী আন্দোলনে। নিরাপত্তা বাহিনী ও বিচার বিভাগকে হাতিয়ার বানিয়ে সেই বিপ্লব কঠোর হাতে দমনের চেষ্টা করছে ইরান সরকার।
সূত্র : রেডিওফ্রিইউরোপ।