প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:০০ পিএম
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:৩৫ পিএম
অভিযুক্ত ইরানি যুবকের ক্যাস্ট্রপ-রাউক্সেল শহরের বাসা থেকে উদ্ধার বিষাক্ত উপাদান পরীক্ষা করে দেখছে পুলিশ। ৮ জানুয়ারি ভোরে। ছবি : সংগৃহীত
হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, এমন সন্দেহে এক ইরানি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে জার্মানির পুলিশ। রবিবার (৮ জানুয়ারি) ভোরে পশ্চিম জার্মানির একটি শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পশ্চিম জার্মানির ডুস্সেলডর্ফ শহরের সরকারি কৌসূলি ও রেকলিংহাউসেন ও মুইন্সটা ডিস্ট্রিক্টের পুলিশ রবিবার এক যৌথ বিবৃতিতে জানায়, ‘ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তি সায়ানাইড ও রিসিন বীজ সংগ্রহ করছিলেন। হামলা চালাতেই ওইসব বিষাক্ত উপাদান ও বীজ সংগ্রহ করছিলেন তিনি।’
‘এ অবস্থায় নির্ভরযোগ্য সূত্রে খবর পেয়ে রেকলিংহাউসেন ডিস্ট্রিক্টের ক্যাস্ট্রপ-রাউক্সেল শহরে ওই ব্যক্তির বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে ৩২ বছর বয়সি ওই ইরানি যুবককে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি আরেক ব্যক্তিকেও আটক করা হয়।’
‘দ্বিতীয় ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে কিনা, তা নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় ব্যক্তির বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’
সায়ানাইড এক ধরনের বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান। এটি মুখ বা নাকে লাগানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মানুষ বা যেকোনো প্রাণীর নিশ্চিত মৃত্যু হয়।
আর রিসিনও বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ, যা এক ধরনের বীজে পাওয়া যায়। এটির অতিসামান্যতমও মানুষ বা কোনো প্রাণীর নাকে-মুখে লাগার ৩৬ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নির্ঘাত মৃত্যু হয়। কারণ এখন পর্যন্ত এটির কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মাসখানেক আগে চরম ডানপন্থী দলের ২৫ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে জার্মানির পুলিশ। এই পরিস্থিতে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে এক ইরানিকে গ্রেপ্তার করা হলো।