প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:২০ পিএম
আপডেট : ০৭ জানুয়ারি ২০২৩ ২২:৫৯ পিএম
জাপানের রাজধানী টোকিওর একটি ব্যস্ততম রাস্তা
টোকিও ছেড়ে গ্রামে গেলেই মিলবে টাকা। সেই টাকার অঙ্কটাও নেহায়েত মন্দ নয়। জাপানের রাজধানী টোকিওর ভিড় কমাতে এবার এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার।
ইন্ডিয়া টুডে জানায়, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার প্রশাসনের ঘোষণা অনুযায়ী যেসব পরিবার তাদের সদস্যকে গ্রামে পাঠাবে, তাদের দেওয়া হবে ১ মিলিয়ন ইয়েন বা ৬ লাখ টাকার বেশি।
এ প্রকল্প অনুযায়ী কোনো পরিবারের তিন সদস্য টোকিও ছাড়লে তারা সর্বোচ্চ পাবে ৩ মিলিয়ান ইয়েন বা ১৮ লাখ টাকা।
এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য সম্পর্কেও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছে জাপান সরকার।
রাজধানী শহরের ভিড় কমাতে মোট ১০ হাজার বাসিন্দাকে অন্যত্র সরানোর পরিকল্পনা থেকেই এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
কোভিড মহামারির ধাক্কায় উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে জাপানের জনসংখ্য়া। এ অবস্থায় উপার্জনের আশায় টোকিও এবং ওসাকার মতো শহরগুলোয় চলে আসছে বহু মানুষ। অন্যদিকে গ্রামে থেকে যাচ্ছে শুধু বয়স্ক নাগরিকরাই। ফলে দেশটির অর্থনৈতিক উন্নতিতে যথাযথ অবদান রাখতে পারছে না গ্রামগুলো। এ সমস্যা সমাধানেই নতুন এ প্রকল্প চালু করেছে জাপান প্রশাসন।
জানা গেছে, ২০২০ সালে ২৯০টি পরিবার এ প্রকল্পের সুবিধা নিয়েছিল। ২০২১ সালে এর সংখ্যা বেড়ে হয় ১ হাজার ১৮৪।
ওই সময় পরিবারগুলোকে ৩ লাখ ইয়েন করে দেওয়া হতো। ২০২৭ সালের মধ্যে ১০ হাজার মানুষকে রাজধানী থেকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সে লক্ষ্য পূরণের জন্যই টাকার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাপান সরকারের এক পদস্থ কর্মকর্তা।
চলতি বছরের এপ্রিল থেকে নতুন এ নীতি কার্যকর করবে জাপান সরকার। এ মর্মে বছরের প্রথম মাসেই নির্দেশিকা জারি করেছে প্রশাসন।
এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ১ হাজার ৩০০ পৌরসভাকে শামিল করা হয়েছে। দেশটির প্রশাসন জানিয়েছে, টোকিওর ২৩ অঞ্চলে জনঘনত্ব খুব বেশি। এখানকার পরিবারগুলোকে প্রথমে এ প্রকল্পের আওতায় আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শুধু তাই নয়, এ প্রকল্পকে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে সরকারের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে সচেতনতামূলক প্রচার। জনগণের কাছে গ্রামীণ পরিবেশের সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি তুলে ধরা হচ্ছে ওই প্রচারে।
তবে প্রকল্পের ক্ষেত্রে বেশকিছু শর্তও আরোপ করেছে জাপান সরকার। শর্ত মোতাবেক অল্প সময়ের জন্য গ্রামে থাকলে এ প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না তারা। সরকারি অর্থ পেতে হলে অন্তত পাঁচ বছরের জন্য গ্রামে থাকতে হবে তাদের।