প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:৫৮ পিএম
আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:০৯ পিএম
ভারতের মেরিয়ন বায়োটেকের প্রধান কার্যালয়ের গেটে কোম্পানিটির লোগো। গত ২৯ ডিসেম্বর তোলা। ছবি: সংগৃহীত
ভারতীয় ওষুধ কোম্পানি মেরিয়ন বায়োটেকের কাশির সিরাপ পান করে গত মাসে উজবেকিস্তানে অন্তত ১৯ শিশুর মৃত্যু হয়। এরপর তদন্ত শুরু করে উজবেকিস্তানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো। তারই ধারাবাহিকতায় চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে উজবেকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী।
উজবেক স্টেট সিকিউরিটি সার্ভিস শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার চার জনের মধ্যে দুজন উজবেকিস্তানের সাইন্টিফিক সেন্টার ফর স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন অব মেডিসিনের কর্মকর্তা। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মেরিয়ন বায়োটেকের ডক-১ ম্যাক্স কাশির সিরাপটি যথাযথভাবে পরীক্ষা না করে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
গ্রেপ্তার বাকি দুজন উজবেকিস্তানের কুরামক্স মেডিকেল নামের একটি ওষুধ আমদানিকারী কোম্পানির নির্বাহী কর্মকর্তা। কোম্পানিটি মেরিয়ন বায়োটেকের ওষুধ আমদানি করে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, উজবেকিস্তানে ডক-১ ম্যাক্স সিরাপ পানে ১৯ শিশুর মৃত্যুর পর গত মাসে মেরিয়ন বায়োটেক জানায়, ওষুধটির উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সার্বিক বিষয়।
শিশু মৃত্যুর ঘটনার পর গত মাসেই উজবেকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ডক-১ ম্যাক্স সিরাপে ইথিলিন গ্লাইকল নামের বিষাক্ত পদার্থ পাওয়া গেছে। বিবৃতিতে এটাও বলা হয়, বিষাক্ত ইথিলিন গ্লাইকল থাকার কারণে, না অতিরিক্ত ডোজের কারণে শিশুদের মৃত্যু হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ইতোপূর্বে ভারতীয় ওষুধ কোম্পানি মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালসের কাশি ও ঠান্ডার সিরাপ পান করে গাম্বিয়ায় অন্তত ৭০ শিশুর মৃত্যু হয়। কোম্পানিটির মোট চারটি সিরাপে বিষাক্ত পদার্থ পাওয়া গেছে।
কিন্তু নিজেদের দায় অস্বীকার করেছে মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালস। অন্যদিকে ভারত সরকারও তদন্তে মেডেনের শিশুদের ওষুধ ক্ষতিকর কোনো পদার্থ খুঁজে পায়নি। কিন্তু কোম্পানিটির ওই চারটি কাশির সিরাপ নিয়ে বৈশ্বিক সতর্কতা জারি করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।