প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:১৮ পিএম
আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:২৭ পিএম
ফাইল ফটো
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ২০ বছর বয়সি তরুণীকে টেনে নিয়ে যাওয়া গাড়িতে ৫ জন নয় বরং ৪ জন ব্যক্তি ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ সময় আরও বলা হয়, দুর্ঘটনার সময় যে ব্যক্তি গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে ধারণা করা হয়েছিল, প্রকৃতপক্ষে তিনি তখন ঘটনাস্থলে ছিলেন না।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
অঞ্জলি সিং নামের ওই তরুণী একজন ইভেন্ট ম্যানেজার ছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় নতুন বছর উদযাপনের পার্টিতে গিয়েছিলেন অঞ্জলি ও তার বন্ধু নিধি। পার্টিটি হচ্ছিল ওয়ো হোটেলে। সেখান থেকে বেরিয়ে রাত ২টার দিকে সুলতানপুরি এলাকায় একটি গাড়ি অঞ্জলি ও নিধিকে বহনকারী স্কুটারটিকে ধাক্কা দেয়। এতে অঞ্জলি ছিটকে পড়ে তার পা গাড়ির সামনের এক্সেলে আটকে যায়। এ অবস্থায় গাড়িটি ১ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে প্রায় ১৩ কিলোমিটার রাস্তা তাকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে চলে। এ সময় গাড়িটি দুবার ইউটার্নও নেয়। তৃতীয় ইউটার্নটি নেওয়ার সময় অঞ্জলির শরীরটি গাড়ি থেকে ছুটে যায়।
এ ঘটনার পর জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয় দীপক খান্না, মনোজ মিত্তাল, অমিত খান্না, কৃষাণ ও মিঠুন নামের পাঁচ ব্যক্তিকে। গাড়িতে থাকা ব্যক্তিদের বাঁচানোর চেষ্টা ও গা ঢাকা দিতে সাহায্য করায় আরও দুজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে পুলিশ।
যার মধ্যে তরুণীর মৃত্যুতে ব্যবহৃত ওই গাড়ির মালিক আশুতোষকে শুক্রবার সকালে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সপ্তম অভিযুক্ত অঙ্কুশকে খুঁজছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, শুরুতে অমিত খান্নার আত্মীয় দীপক খান্না ওই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন বলে ধারণা করা হয়। যেখানে ঘটনার সময় বাস্তবে দীপক তার ঘরেই ছিলেন। কিন্তু অমিত খান্না লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে সে দোষ নিজ ঘাড়ে নিয়ে নেন দীপক।
ঘটনার পর জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা সাগর প্রীত হোদা বলেন, ‘অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক হত্যাকাণ্ড এবং অবহেলার কারণে মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়। গাড়িতে থাকা পাঁচজন ওই সময় মদপান করছিলেন বলেও অভিযোগ করা হয়।
ঘটনার প্রায় দুই ঘন্টা পর তারা গাড়িটি এর মালিক আশুতোষের কাছে ফিরিয়ে দেয়। এরপর একটি অটোরিকশায় চেপে পালিয়ে যেতে দেখা যায় ক্যামেরার ফুটেজে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়, কমপক্ষে ৪০টি আঘাতের চিহ্ন দেখা যায় অঞ্জলির শরীরে।