প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২২ ১৪:৩৯ পিএম
আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২২ ১৫:৩৬ পিএম
অর্থনীতি চাঙ্গা করতে তরুণদের বেশি মদ পানের আহ্বান জাপানের
খাদ্যাভ্যাস ও পানীয় গ্রহণে একেক দেশের একেক রেওয়াজ। যেমন জাপানে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মদ বা মদজাতীয় পানীয় পান করা জনপ্রিয়। তবে সম্প্রতি জাপানি তরুণরা মদ পান কমিয়ে দিয়েছে। এতে কর আদায় কমেছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে বিষয়টি দেশটির সরকারকে চিন্তায় ফেলেছে। তাই অর্থনীতি চাঙ্গা করতে তারা তরুণদের বেশি করে মদ পানের আহ্বান জানিয়েছে। এ নিয়ে রীতিমতো প্রচার-প্রচারণাও শুরু করেছে।
তরুণদের মধ্যে মদ জনপ্রিয় করতে জাপানের কর বিভাগের নেওয়া পদক্ষেপ সমালোচনার মুখে পড়েছে। এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানে বর্তমান প্রজন্ম তাদের বাবা-মায়ের তুলনায় কম মদ পান করছে। এর ফলে সেক বা রাইস ওয়াইনের মতো বেভারেজজাতীয় পণ্য থেকে ট্যাক্স আদায় কমে গেছে। ১৯৯৫ সালে একজন জাপানি বছরে গড়ে ১০০ লিটার মদ পান করতেন, ২০২০ সালে এসে তা দাঁড়িয়েছে ৭৫ লিটারে।
জাপান টাইমস বলছে, ১৯৮০ সালে আদায় করা মোট করের ৫ শতাংশ আসত মদশিল্প থেকে, সেখানে ২০২০ সালে আসছে মাত্র ১ দশমিক ৭ শতাংশ।
মদ পানে অনীহার এই প্রবণতা বদলাতে জাপানজুড়ে জাতীয় প্রতিযোগিতা ও প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির জাতীয় কর সংস্থা। মদ পানকে জনপ্রিয় করার কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুরু হয়েছে ‘সেক ভাইভা’। তারা মনে করছে, এতে তরুণ সমাজ মদের প্রতি আগ্রহী হবে, চাঙ্গা হবে অর্থনীতি।
সেক ভাইভা প্রতিযোগিতায় ২০ থেকে ৩৯ বছর বয়সী জাপানিদের মদসংক্রান্ত ব্যবসায়িক ধারণাগুলো তাদের সমবয়সীদের মধ্যে শেয়ার করতে হবে। পরিকল্পনা অনলাইনেই জমা দিতে হবে এবং প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার জন্য কোনো এন্ট্রি ফি রাখা হয়নি।
প্রতিযোগীরা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাদের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা পেশ করার সুযোগ পাবেন। নভেম্বরে চূড়ান্ত প্রস্তাব উপস্থাপনের আগে বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে সেরা প্রকল্পগুলো তৈরি করা হবে।
তবে মদ পানের ক্ষতিকর দিক থাকায় কেউ কেউ এসব পদক্ষেপের সমালোচনাও করছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, এ কর্মসূচির মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। তবে ভার্চুয়াল জগতে এর প্রচারণা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। উল্লেখ্য, এই জনপ্রিয়তার কারণ অন্যান্য দেশের মতো জাপানেও তরুণরাই অনলাইনে বেশি সক্রিয়।
দেশটির কর বিভাগের এ সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, মদশিল্পের বাজার সংকুচিত হচ্ছে। তবে এ জন্য তরুণদের মদে অনীহা একমাত্র কারণ নয়। এর পাশাপাশি বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি ও জন্মহার হ্রাসের ঘটনা গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে।
প্রবা/এইচকে/এমজে