প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ ১১:৪৭ এএম
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ ১৩:২২ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
ভারতের তৈরি সিরাপ খেয়ে উজবেকিস্তানের অন্তত ১৮ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর আগে গাম্বিয়া ও ইন্দোনেশিয়াও একই অভিযোগ এনেছিল।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা মেরিয়ন বায়োটেক প্রাইভেট লিমিটেডের তৈরি ওই সিরাপ খেয়ে শিশুদের মৃত্যু হয়েছে।
মন্ত্রণালয় বলছে, ১৮ জন শিশু যারা তীব্র শ্বাসযন্ত্রের রোগে আক্রান্ত হলে তাদের ডক-১ ম্যাক্স সিরাপ খাওয়ানোর পরে তাদের মৃত্যু হয়।
মঙ্গলবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সিরাপটির একটি ব্যাচে ইথিলিন গ্লাইকোল রয়েছে, যা একটি বিষাক্ত পদার্থ। আর সিরাপটি উজবেকিস্তানে কুরাম্যাক্স মেডিকেল এলএলসির মাধ্যমে আমদানি করা হয়েছিল।
এদিকে উজবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়া বা অবহেলার জন্য সাত কর্মচারীকে বরখাস্ত করেছে।
এতে আরও বলা হয়, সিরাপটি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই বাড়িতে শিশুদের ওই সিরাপ সেবন করতে দেওয়া হয়েছিল, হয় তাদের অভিভাবক বা ফার্মাসিস্টের পরামর্শে। তবে এটি নিশ্চিত নয় যে সব শিশুরা নির্দিষ্ট ডোজের চেয়ে বেশি ডোজ সেবন করেছে কিনা।
ভারতের হিন্দু সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন তারা উজবেকিস্তানের বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। কিন্তু এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ওষুধের মান নিশ্চিত করতে ভারতের কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার সারাদেশে কিছু ওষুধ কারখানা পরিদর্শন শুরু করেছে।
এর আগে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়াতেও এমন ঘটনার অভিযোগ আসে। যেখানে দিল্লি-ভিত্তিক মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের তৈরি সর্দি-কাশির সিরাপ খেয়ে দেশটির অন্তত ৭০ জন শিশুর মৃত্যুর হয়। যদিও ওই কোম্পানি ও ভারত সরকার উভয়ই ওই দায় অস্বীকার করে।
উজবেকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সব ফার্মেসি থেকে ডক-১ ম্যাক্স ট্যাবলেট ও সিরাপ প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে।